নায়কেরা কেমন হন? প্রশ্নের জবাবটা দিতে হলে সবারই হয়তো একটু ভাবতে হবে। একেকজনের জবাব হয়তো একেকরকম হবে। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল যারা দেখেছেন তাদের সামনে দুইটা উদাহরণ আনলে সহমত পোষণ না করে পারবেন না যে, নায়কেরা এমনই হন।
ভারতের দেয়া সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু এনে দেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন এবং তানজিদ হাসান তামিম। দলীয় ৫০ রানে তামিম ফিরে যান। এরপর শুরু হয় বাংলাদেশের ব্যাটিং ধ্বস। একে একে ধরাশায়ী হন দারুণ ফর্মে থাকা মাহমুদুল হাসান জয়, তৌহিদ হৃদয়, শাহাদত হোসেনরা। এরমধ্যে কপাল পোড়ে ইমনের। হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরি তাকে বাধ্য করে মাঠ ছাড়তে।
অধিনায়ক আকবর আলী ক্রিজে এসে চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু তাকে সঙ্গ দেয়ার কেউ তো থাকতে হবে! শামিম হোসেন, অভিষেক দাসরা বিদায় নিলে কঠিন চাপে পড়া দলের হাল ধরতে ইনজুরি নিয়ে আবারো ফিরতে হয় ইমনের। অধিনায়কের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে আবারো জয়ের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন। দারুণ সব বাউন্ডারিতে সহজ সমীকরণের দিকে নিয়ে যান দলকে।
কিন্তু তার এই ত্যাগ আর উজাড় করে দেয়া ইনিংসটিও যথেষ্ট ছিলো না বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেয়ার জন্য। ৩২তম ওভারের শেষ বলে জয়শওয়ালের শিকার হন তিনি। অফস্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল সজোরে হাঁকাতে গিয়ে আকাশ সিংয়ের তালুবন্দী হন ইমন। দলকে বিপদে রেখে এভাবে বিদায় আর হ্যামস্ট্রিংয়ের ব্যথা মিলে তার রাজ্যের কষ্ট ভর করে ইমনের চেহারায়।
কিন্তু তার বিদায়ের পরেও স্বপ্ন ভাঙতে দেননি আরেক নায়ক আকবর আলী। দায়িত্ব পুরোটা কাঁধে তুলে নেন অধিনায়ক আকবর। শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করে দলকে বিজয়ের হাঁসি এনে দেন তিনি, পূরণ করেন ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন।
আরো পড়ুন: