সদ্য সমাপ্ত আইসিসি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হলে সেটা কোনো বিতর্কের জন্ম দিতো না। এমন মন্তব্য করেছেন ব্ল্যাক ক্যাপস কোচ গ্যারি স্টেড। এদিকে, বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় ব্যাপক রদ বদল হতে যাচ্ছে ভারতীয় কোচিং প্যানেলে। প্রধান কোচসহ ছয়টি পদেই নতুন লোক চেয়ে আবেদন পত্র আহ্বান করেছে বিসিসিআই।
বিশ্বকাপ শেষ। কিন্তু তার রেশ এখনও তরতাজা। এমন একটা ফাইনাল উপহার দিয়েছে সিডব্লিওসি নাইনটিন যেটা চাইলেও স্মৃতিপটে হারাবে না সহসাই। কেননা এমন ম্যাচ যে হয় শতাব্দীতে একটা। যারা সাক্ষী হয়েছেন আমৃত্যু গল্প করার রসদ পেয়েছেন। যারা দেখেননি এটাই যে তাদের বিশাল আক্ষেপ।
অবশ্য এমন ম্যাচেও সমালোচনার রসদ আছে বহু। শেষ ওভারে ওভার থ্রোর কল্যানে ইংলিশ স্কোর শিটে যে ছয় রান যোগ হয়েছে, তার যৌক্তিকতা নিয়ে ক্রিকেট বিশ্ব আজ দু ভাগে বিভক্ত। শুধু কি তাই! সুপার ওভারে ম্যাচ টাই হবার পর যে ভৌতিক নিয়মে ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছে, তা নিয়েও আপত্তি তুলেছেন অনেকেই।
নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টেড বলেন, 'ফাইনাল ম্যাচটা এখনও আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। আমি আসলে এমন স্মৃতি ভুলে যেতে চাই। আমাদের সাথে অন্যায় হয়েছে কি'না সেটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে কিছু কিছু সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে গেলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারতো। এছাড়াও সুপার ওভারের অদ্ভুতুড়ে নিয়ম নিয়েও আমার আপত্তি আছে। তবে আইসিসি চাইলে বিতর্কের উর্ধ্বে গিয়ে সব কিছু করতে পারতো। সেটা হতো দু-দলকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা।'
এবারের বিশ্বকাপে ফেবারিটের তালিকায় উপরের দিকে ছিলো ভারতের নাম। আসরে শুরুটাও তাদের হয়েছিল তেমনই। গ্রুপ পর্বে দারুণ পারফর্ম করে টিম ইন্ডিয়া যায় শীর্ষ চারে। সেখানে হয় নক্ষত্রের পতন। ব্যাটিং ব্যর্থতায় কোহলিদের বিদায়ে নতুন মেরুকরন এখন গোটা দলে।
ভারত সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে কোহলির সাথে রোহিতের দ্বন্দ্বের খবর। যার সঙ্গে জড়িয়ে যায় হেড কোচ রবী শাস্ত্রীর নাম। যদিও তার মেয়াদ শেষ হবার পর সেটা বাড়িয়েছিলো বিসিসিআই। তবে নতুন খবর হলো প্রধান কোচ সহ মোট ছয়টি পদে নতুন লোক চেয়ে প্রজ্ঞাপন জারী করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আবেদনের সময় সীমা বেধে দেয়া হয়েছে ৩০ জুলাই পর্যস্ত।
এদিকে, কোহলিদের পরবর্তী কোচের যোগ্যতা নিয়ে বিশাল লম্বা একটা ফর্দ করে দিয়েছে বিসিসিআই। শুধু মাত্র সেই আবেদন করতে পারবেন যার কোন টেস্ট খেলুড়ে দলের হয়ে দুই বছর প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। আর সেটা না থাকলে এ দল কিংবা আইপিএলে কোন দলের সহকারী হিসেবে কমপক্ষে তিন বছর কাজ করেছেন এটাও বিবেচনায় আনা হবে। শুধু তাই নয়! আগ্রহী প্রার্থীর নিজ দেশের হয়ে ৩০টি টেস্ট অথবা ৫০টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা লাগবে। আর বয়স হতে হবে ৬০ এর মধ্যে।