বিশ্বকাপের ফাইনাল এরচেয়ে রোমাঞ্চকর আর কিই বা হতে পারে! কিংবা এই ফাইনালে হারেনি কেউই, জয় হয়েছে ক্রিকেটের- এমন মন্তব্যে ভাসছে ক্রিকেটবিশ্ব। তবে ইংলিশদের ইতিহাস গড়ার দিনটিতে মাঠে থাকা আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ক্রিকেট বোদ্ধাদের অনেকেই। সেই বিতর্ককে আরো যৌক্তিকভাবে ব্যাখ্যা করেছেন সাবেক অস্ট্রেলীয় আম্পায়ার ও এমসিসি’র ক্রিকেট আইন-বিষয়ক সদস্য সায়মন টোফেল।
বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাইমন পরিস্কারভাবে জানান, এই সিদ্ধান্তটি ছিল ভুল। ক্রিকেট আইনের ১৯ এর ৮ ধারার ব্যাখ্যা দিয়ে তা প্রমাণও করেছেন তিনি। ওভারথ্রো অর উইলফুল অ্যাক্ট অব ফিল্ডার- শিরোনামে উল্লেখ আছে, বলটি কুড়িয়ে উইকেটের উদ্দেশ্যে ছোড়ার মুহূর্তে যদি ব্যাটসম্যান দু’জন পরস্পরকে অতিক্রম না করে তবে ওই রানটি যুক্ত হবে না। পঞ্চাশতম ওভারের তৃতীয় বলে গাপটিলের বল ছোড়ার মুহূর্তে স্টোকস আর রশিদ পরস্পরকে অতিক্রম করেননি। সুতরাং নিয়ম অনুযায়ী, ইংলিশদের স্কোরবোর্ডে যুক্ত হওয়ার কথা ছিল পাঁচ রান। এখানেই শেষ নয়, নিয়ম অনুসারে, পিচ কভার না হওয়ায় স্ট্রাইক পাওয়ার কথা আদিল রশিদের। আর তাতে শেষ তিন বলে ম্যাচের গল্পটা হতে পারতো ভিন্ন।
অবশ্য ফাইনালের মঞ্চ আর ম্যাচের উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে এত চুলচেরা সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হওয়াটা মোটেও অস্বাভাবিক নয় বলেও মন্তব্য টোফেলের। তবুও শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে এরকম একটি ভুলে পাল্টে যায় পুরো চিত্রপট। যে ভাগ্যদেবীর হাসিমুখ কিউইদের এনেছিল সেমিফাইনাল আর ফাইনালের মঞ্চে তারই ভিন্নমূর্তি দেখে আবারো হতাশায় ডুবতে হয়েছে তাদের।