তারকা সমৃদ্ধ ফুটবলার থাকার পরও এবারের বিপিএল ফুটবলে সাফল্য পায়নি চট্টগ্রাম আবাহনী, শেখ রাসেলের মত ক্লাবগুলো। স্বাধীনতা কাপেও আশানুরূপ পারফর্ম করতে পারছেনা তাদের ফুটবলাররা।
সে তুলনায় মাঝারি মানের দল নিয়েও ঘরোয়া ফুটবলে আলো ছড়াচ্ছে শেখ জামালের মত বেশ কিছু ক্লাব।
মূলত নিজস্ব মাঠ, আবাসন ব্যবস্থা, শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতার কারণেই আসছে প্রত্যাশিত সাফল্য। এমনটাই মনে করেন শেখ জামালের ম্যানেজার আনোয়ারুল করিম হেলাল ও ফরাশগঞ্জের ম্যানেজার মানোস বোস বাবুরাম।
লিগ শেষে চলছে বছরের প্রথম টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপ। বিদেশিদের অনুপস্থিতিতে দেশিয় ফুটবলারদের প্রমাণের সবচেয়ে বড় মঞ্চ ধরা হয় এই আসরকে। এবারের আসরে তারকা সমৃদ্ধ দলগুলোকে টেক্কা দিয়ে সবার আগে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখেছে ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব। বিপিএলে পাতানো ম্যাচের অভিযোগের সঙ্গে কপালে জুটেছিলো রেলিগেশন।
আসরের আগে আবাহনী, শেখ রাসেল, সাইফ, কিংবা চট্টগ্রাম আবাহনী শিরোপা প্রত্যাশী এই দলগুলোই ছিলো ফেভারিটের কাতারে। কিন্তু রেলিগেশনে পড়া ফরাশগঞ্জ দেশীয়দের ওপর ভর করেই ছুটে চলছে দুরন্ত গতিতে।
ঘরোয়া ফুটবলের আরেক ক্লাব শেখ জামাল। মৌসুমের শুরুতে তাদের হিসেবের মধ্যেই ধরা হয়নি। কিন্তু অভিজাত পাড়ার এই দলটিই বিপিএলে রানার্সআপ হওয়ার পাশাপাশি স্বাধীনতা কাপেও ছন্দ ধরে রেখেছে। তারকা ফুটবলার না থাকার পরও, সাফল্য পাচ্ছে দলগুলো। এর পেছনে রহস্যটা কি? ক্লাবগুলোর দাবি নিজস্ব মাঠ, আবাসন ব্যবস্থা, শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতার কারণেই সাফল্য পাচ্ছে শেখ জামালের মত ক্লাবগুলো।
শেখ জামালের ম্যানেজার আনোয়ারুল করিম হেলাল বলেন, 'প্রত্যেকটা ছেলে যার যার জায়গা থেকে শতভাগ সময়টা দেয় এবং তারা টিমের জন্য কাজ করে। আমরা খাওয়া-দাওয়া, বাইরে যাওয়া সবকিছুতেই শৃঙ্খলা মেনে চলি। একারণেই আমাদের দলটা ভালো করছে।'
ফরাশগঞ্জের ম্যানেজার মানস বোস বাবুরাম বলেন, 'আমাদের খেলোয়াড়দের অধ্যবসায় আজকের এই সাফল্যের পেছনের সবচেয়ে বড় কারণ। আমরা খেলোয়াড়দের কঠোর অনুশাসনে রেখেছিলাম। তাদের বলেছিলাম যে, দলের অবস্থা খারাপ। আমরা স্বাধীনতা কাপে ভালো ফলাফল করে দেখাতে চাই।'
স্বাধীনতা কাপে দুই গোল নিয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে এগিয়ে আছেন ফরাশগঞ্জের ফরহাদ মনা ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিশাল দাস। লিগ শেষে পর্যাপ্ত সময় না পাওয়াতে শুরুটায় নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি লিগে বেশিরভাগ সময় সাইড বেঞ্চে কাটানো এই ফুটবলাররা। তবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের ফিরে পাচ্ছেন বলে দাবি তাদের।
আগামীতে লিগে বিদেশি ফুটবলারের কোটা কমলে দেশীয়রা আরো ভালভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারবে বলেও মত তাদের।