অনূর্ধ্ব-১৯ এবং অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সমন্বয়ে সামনের বছরের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য জাতীয় দল গঠন করবে বাফুফে। যাদের কাঁধে ভর করে দীর্ঘদিন পর দক্ষিণ এশিয়া ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখছে ফেডারেশন। জাতীয় দল নিয়ে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ন্যাশনাল টিমস কমিটির কো চেয়ারম্যান তাবিথ আওয়াল। এ জন্য জানুয়ারি থেকে ৫০ জন ফুটবলার নিয়ে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একটি ক্যাম্প করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফে।
সবশেষ সাফের ফাইনালে বাংলাদেশ খেলেছিল ২০০৫ এ। চার বছর পর হোস্ট হয়েও সেমির গন্ডি পেরুতে পারেনি স্বাগতিকরা। এরপর সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে জাতীয় দলের পারফরমেন্সের গ্রাফটা গিয়ে ঠেকে একেবারে তলানিতে। সামনের দিনে প্রচেষ্টাটা তাই পুরনোকে একদম ঝেড়ে ফেলার।
আক্ষরিক অর্থে জাতীয় দলের কোনো কার্যক্রম নেই গেল এক বছর ধরে। তবে অস্তিত্ব সংকটে থাকা দেশের ফুটবলে নতুন করে আশার আলো যোগাচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাম্প্রতিক পারফরমেন্স। সঙ্গে আছে অনূর্ধ্ব-২৩ দল। সব মিলিয়ে নবীনদের নিয়েই স্বপ্ন দেখছে বাফুফে।
ন্যাশনাল টিমস কমিটির কো-চেয়ারম্যান তাবিথ আওয়াল বলেন, 'তরুণ খেলোয়াড়দের ওপর একটা সুনজর ছিলো। আমরা মনে করছি, অনূর্ধ্ব-১৯ এবং অনূর্ধ্ব-২৩ এর খেলোয়াড়রা আগামীর জাতীয় দল গঠন করবে। আমরা একটা তরুণ জাতীয় দল গড়বো। এবার অবশ্যই আমরা সাফের ফাইনালে খেলতে চাই।'
সাফের পরবর্তী আসর বসবে আগামী বছর সেপ্টেম্বরে। আর বাফুফের জাতীয় দল গঠনের কার্যক্রম শুরু হবে জানুয়ারি থেকেই। বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দল থেকে ৫০ জন ফুটবলার বাছাই করে চলবে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ। তবে সেখানে সিনিয়রদের জায়গা হবে কি'না তা স্পষ্ট করেনি ন্যাশনাল টিমস কমিটি।
তাবিথ আওয়াল বলেন, 'জানুয়ারি মাসের পর পঞ্চাশ জন খেলোয়াড়ের একটা পুল করে ওদের নিয়মিত প্রশিক্ষণে রাখা হবে। এমন নয় যে সবাই একই সময়ে প্রশিক্ষণে থাকবে। আমরা রোটেশন করবো। লক্ষ্য থাকবে সবার ফিটনেস যেনো আমরা ধরে রাখতে পারি। ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাফ হবে, অনেক লম্বা সময়। আমরা আশাবাদী যেনো ফিটনেসটা বজায় রাখতে পারি।'
দল গঠনের পর তাদের পারফরমেন্স বিচারে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা করছে বাফুফে। ফেব্রুয়ারি আর জুনে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচ দুটি। তবে প্রতিপক্ষ কে হবে তা এখনও চূড়ান্ত করেনি ফেডারেশন।
/এসএম