বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গ্রামে গ্রামে তৈরি হচ্ছে হাতের তৈরি বাঁশ, বেত, শন, তালপাতা প্লাস্টিক এবং পুঁথির তৈরি নানা ধরনের জিনিসপত্র। এতে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে দারিদ্র্য-পীড়িত গ্রামের শতশত নারী।
তবে পর্যাপ্ত পুঁজি ও এলাকায় বিদ্যুৎ সুবিধা থাকলে আরও ভালো কিছু করার আশাবাদ তাদের। আর তাদের পণ্য দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর, গাড়িদহ, কুসুম্বি ও সীমাবাড়ী ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামে গেলে দেখা যাবে এক সঙ্গে কাজ করছেন নারীরা। সংসারের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে বাড়তি আয় করতে তারা বেছে নিয়েছেন হাতের তৈরি জিনিসপত্রের কাজ।
শোপিস থেকে শুরু করে সংসারের নানান জিনিস তৈরি করছেন শন, তালপাতা, প্লাস্টিক, পুঁথি দিয়ে। এসব পণ্য বিক্রি করে সংসারের সচ্ছলতা ফিরেছে তাদের।
এলাকায় বিদ্যুৎ সুবিধা এবং সমবায়-ভিত্তিতে গড়া সমিতিগুলোতে বিনা সুদে ঋণ সুবিধা দেয়া হলে আরও ভালো কিছু করার আশাবাদ সংশ্লিষ্টদের।
স্থানীয়ভাবে হাতের তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি হচ্ছে ঢাকার নামীদামী শো-রুম ও বিদেশে।
আর বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির যুগ্ম-পরিচালক হাবিবুর রহমান জানালেন, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সমবায় সমিতি করে এখানকার জিনিসপত্র বাজারজাত করার ব্যবস্থা করছেন তারা।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ৭০টি গ্রামে ৫ হাজার নারী হস্তশিল্পের কাজ করছে।