নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয়া এমভি এসকেএল-৩ ঘাতক জাহাজটি নারায়ণগঞ্জ নৌ-থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একই সঙ্গে জাহাজটির মাস্টার ও চালকসহ গ্রেফতার হওয়া ১৪ আসামিকেও হস্তান্তর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (০৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কোস্টগার্ড ও নৌ-থানা পুলিশের হেফাজতে জাহাজটি নারায়ণগঞ্জের খেয়াঘাটে এনে নোঙর করা হয়।
জাহাজটি নোঙর প্রক্রিয়া শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ১৪ আসামিকে নদীবন্দর সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জ নৌ-থানা হাজতে নিয়ে আসা হয়।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় নোঙর করা অবস্থায় ওই কার্গো জাহাজটি আটক করে কোস্টগার্ড। এ সময় কার্গোর চালকসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন-জাহাজের মাস্টার অহিদুজ্জামান, চালক মজনু, দুই সুকানি আনোয়ার, নাজমুল, দুই গ্রীজার ফারহান, হৃদয়, ডেকটেন্টল আবদুল্লাহ, পাঁচ লস্কর রকিবুল, নূর ইসলাম, সাগর, সাকিব, আলিফ ও বাবুর্চি বাশার নামের আরো নয়জন কর্মচারী।
নারায়ণগঞ্জ জেলা নৌ-থানার পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা সময় নিউজকে জানান, কোস্ট গার্ড কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আটক করা এসকেএল-৩ জাহাজ ও গ্রেফতার আসামিদের বুঝে নিয়ে সদর নৌ-থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
গত ৪ এপ্রিল রোববার বিকেল ৫টা ৫৬ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে সাবিত আল হাসান নামে লঞ্চটি অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সন্ধ্যা আনুমানিক সোয়া ছয়টার দিকে লঞ্চটি সদর উপজেলার কয়লাঘাট এলাকায় গেলে এসকেএল-৩ নামে একটি লাইটার কোস্টার জাহাজের ধাক্কায় নদীতে তলিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সোমবার লঞ্চটি উদ্ধারসহ দুর্ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের অধিকাংশের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায়। লঞ্চডুবির ঘটনায় বন্দর থানায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেছে নৌ-মন্ত্রনালয়, নৌ-থানা পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ।