সেমি ফাইনালের টিকেট কাটতে রাতে মাঠে নামবে দুই ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর আর্সেনাল। অতিথি হিসেবে গ্রানাদার বিপক্ষে মাঠে নামবে রেড ডেভিলরা। অন্য ম্যাচে এমিরেটসে প্রাগের বিপক্ষে লড়বে আর্সেনাল। দুটি ম্যাচই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।
এফএ কাপে লেস্টারের বিপক্ষে হারটা ছাড়া শেষ ১৬ ম্যাচের ১৫টিই জিতেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। টেবিলের দুইয়ে থাকলেও লিগ টাইটেলটা এবারে আর তাদের শোকেজে উঠছে না তাও মোটামুটি নিশ্চিত। শূন্য হাতে মৌসুম শেষ করতে না চাইলে ইউরোপা লিগকেই পাখির চোখ করতে পারে রেড ডেভিলরা। কোচ সোলশায়ারের মন্তব্যে সেই ইঙ্গিতটাই স্পষ্ট। প্রতিপক্ষ পুচকে গ্রানাদা হলেও কাভানি-রাশফোর্ডদের জন্য ম্যাচটাকে মহাগুরুত্বপূর্ণ মানছেন এ নরওয়েজিয়ান।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ সোলশায়ার বলেন, ইউরোপে কোনো টুর্নামেন্টে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্য বিশেষ। কোচ হিসেবে আমি সেই গুরুত্ব উপলব্ধি করি। দুই পর্বের খেলায় ফলাফলের অর্ধেকটা নির্ধারিত হবে সুতরাং হালকা করে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ইউরোপায় মোলদের কাছে ২-১ এ হারলেও গোল গড়ে শেষ আটে ওঠে গ্রানাদা। তারপর লা-লিগায় খেলা দুটো ম্যাচেও হারের বৃত্তে স্প্যানিশ টপ-ফ্লাইট টেবিলের নয় নম্বরে থাকা দলটা। ফর্ম যাচ্ছে তাই হলেও স্বপ্নটা ছোট নয় কোচের।
গ্রানাদার কোচ দিয়েগো মার্টিনেজ বলেন, এ পর্যন্ত আসাও আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তি। ম্যাচটা উপভোগ করতে চাই আর উপভোগের সেরা উপায় নিজেদের সামর্থ্য ছাপিয়ে যাওয়া। নিজেদের শক্তির ওপর বিশ্বাস রেখে সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে। কীভাবে এত দূর এসেছি সেটা মনে রাখতে হবে।
মার্টিনেজ মনে রাখতে চাইলেও আর্টেটা ভুলে যেতে চান অতীত। কারণটাও যথার্থ। উয়েফার আগের ম্যাচটায় গোলগড়ে পাড় পেলেও লজ্জা পেতে হয়েছে অলিম্পিয়াকোসের কাছে। লিগে এসে ওয়েস্টহ্যামের জালে ৩টা গোল করেও জেতা হয়নি। আর সবশেষ ম্যাচে লিভারপুলের কাছে ৩-০ গোলে উড়ে গেছে অলরেডরা। তাই জয়ের বিকল্প দেখছেন না এই স্প্যানিশ কোচ।
আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্টেটা বলেন, এরকম টুর্নামেন্টে জয় না পাওয়া মানেই আপনার ভাগ্য অনিশ্চিত। সেমি ফাইনালে অবশ্যই খেলতে চাই। সেজন্যই ম্যাচটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর প্রত্যেকটা ম্যাচই নতুন। লিগে আগের ম্যাচে কি হয়েছে সেটা নিয়ে ভাবতে চাই না।
সামর্থ্যের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও প্রাহার সাম্প্রতিক ফর্ম উপেক্ষা করার উপায় নেই। শেষ ৬ ম্যাচে ১০টা গোল হজম করলেও প্রতিপক্ষের জালে ১১ বার সফলভাবে হানা দিয়েছে জিনরিচ শিষ্যরা। প্রতিপক্ষ যেমনই হোক, নিজস্ব খেলার ধরনেই আস্থা রাখছেন কোচ। পচা শামুকে গানারদের ক্ষতটা আরও বাড়বে কি না তাই দেখবার অপেক্ষা।