নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় মো. মিজানুর রহমান আশ্রাফুল (৬) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িত নিহতের মা-এর সাবেক স্বামী আলা উদ্দিন (৩০) ও তার সহযোগী আবদুল্লাহ হাসান আল মামুনকে (১৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (০৭ এপ্রিল) দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারক নবনীতা গুহ আসামিদের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল নানার বাড়ি থেকে নিখোঁজ মিজানুর রহমান আশ্রাফুলের লাশ গত ৫ এপ্রিল সোমবার রাতে নজরপুর গ্রামের তেলি পুকুর এলাকা থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধার নেতৃত্বে অভিযানে নামে পুলিশ। অভিযানকালে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গতকাল মঙ্গলবার আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে নিজের অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন আলা উদ্দিন।
এ সময় হত্যাকাণ্ডে আবদুল্যা হাসান আল মামুন তাকে সহযোগিতা করেছে বলেও স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার আসামি মামুনকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জানা গেছে নিহত শিশু আশ্রাফুলের মা বিবি হাজেরার সঙ্গে আসামি আলা উদ্দিনের বিয়ে ও পরে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে এবং বিবি হাজেরার সঙ্গে পূর্ব বিরোধের জেরে আশ্রাফুলকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশে মাটিচাপা দেয় আলা উদ্দিন ও মামুন। লাশ উদ্ধারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।