বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ঝুঁকিপূর্ণ ট্র্যাকের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশ গেমসের অ্যাথলেটিকসের ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডের ইভেন্টগুলো। অ্যাথলিটরা চোটে না পড়লেও, স্টেডিয়ামের ট্র্যাকের বেহাল দশা নিয়ে হাজারো প্রশ্ন ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের।
যদিও এবার টনক নড়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের। শিগগিরই নিয়োগপ্রাপ্ত ঠিকাদাররা আন্তর্জাতিক মানের নতুন ট্র্যাক সংযোজন করার কাজ শুরু করবে। জানিয়েছেন ক্রীড়া পরিষদের সচিব মাসুদ করিম।
এ সময় তিনি জানান, স্টেডিয়ামের বিদ্যমান কাঠামো ঠিক রেখেই করা হবে বিভিন্ন স্থাপনার সংস্কার।
২০০৬ সালে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয় করে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বসানো হয়েছিল অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক। সময়ের পরিক্রমায় এই ট্র্যাক এখন ব্যবহারের অযোগ্য। যেখানে ট্র্যাক-জুড়ে হাজারো ফাটল। কোথাও কোথাও ফুলে-ফেঁপে একাকার।
এমন ট্র্যাকে খেলাটা অ্যাথলিটদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। অথচ এই ট্র্যাকেই অনুষ্ঠিত হলো বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের অ্যাথলেটিকসের ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডের ইভেন্টগুলো।
স্টেডিয়ামের ট্র্যাকের গর্তে ডাবের খোসা। কদিন আগেই এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ছবিটি নজরে আসে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের কর্তাদেরও। জোড়াতালি দেয়া অনুপযোগী ট্র্যাক পরিবর্তন করে কবে নাগাদ নতুন ট্র্যাক সংযোজন হবে? এমন প্রশ্ন ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের।
যদিও বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের গ্যালারি, মাঠ, অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকসহ বিভিন্ন স্থাপনা সংস্কারের জন্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের ট্র্যাক বসাতে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মাসুদ করিম বলেন, ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজের দরপত্র বিধি মোতাবেক সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই নিয়োগপ্রাপ্ত ঠিকাদাররা কাজ শুরু করবে। মিডিয়া বক্স,ভিআইপি বক্স,গ্যালারি, ফ্লাড লাইটের সংস্কার করা হবে। একই সঙ্গে ট্র্যাকের কাজও শুরু করা হবে। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ট্র্যাক যাতে সংযোজন করা হয় এতে আমরা দৃষ্টি দিয়েছি। ট্র্যাকের বিষয়ে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের পরামর্শ নিয়েছি। খেলোয়াড়দের কথা মাথায় রেখেই ট্র্যাকের ওপর বেশি করে গুরুত্ব দিয়েছি।
দেশের খেলাধুলার প্রধান ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। শত কোটি টাকা ব্যয়ে আগামী ২০২২ সালের জুনের মধ্যে নতুন রূপে দাঁড়াবে এই ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়ামটি।