করোনাকালে ইতালিতে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। তার মধ্যে তিন লাখের বেশি নারী রয়েছেন। দেশটিতে কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ফিলিপিন্সের নারীরা আর সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশি প্রবাসী নারীরা। এতে করে তারা অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠছেন না, বিপাকে পড়ছেন অর্থনৈতিকভাবেও।
কোভিড-১৯-এর থাবায় লণ্ডভণ্ড ইতালির অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে পড়ায় চাকরিচ্যুত করার সংখ্যাও বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি কাজ হারাচ্ছেন নারীরা। ২০২০ সালের শেষ মাসেই ৯৯ হাজার নারী শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। পুরো বছরে চাকরি হারানো নারীদের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ১২ হাজার।
ইতালির মারিও দ্রাঘীর সরকার চাকরিচ্যুত নারী শ্রমিকদের কাজে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। সরকার বলছে, নারী শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল কিংবা চাকরিতে নিলে সরকার ট্যাক্স মওকুফের বিষয়টি বিবেচনায় আনবে। শুরু থেকেই এই সরকার নারী-পুরুষের সমান অধিকারে কথা বলছে। তাই, ২৩ সদস্যের মন্ত্রিপরিষদে ৮ জন নারী মন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
যেসব দেশের প্রবাসী নারী ইতালিতে কাজ করেন তাদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন ফিলিপিন্সের নারীরা। আর সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশিরাই।
বাংলাদেশি নারীরা অভিযোগ করে জানান, অভিভাবকদের অনিচ্ছা আর আগ্রহের অভাবের কারণেই তারা কাজে যোগ দিতে পারছেন না।
রাজধানী রোমসহ প্রতিটি শহরেই কাপড়ের দোকান, আবাসিক হোটেল আর বাসাবাড়ির কাজ করে থাকেন নারীরা। ইতালিতে শতকরা ৪২ শতাংশ নারী কর্মক্ষেত্রে রয়েছেন।