রাজশাহীতে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ নগরবাসী। সিটি করপোরেশন নিয়মিত ড্রেন, ঝোপঝাড়, ডোবা পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব কয়েক গুণ বেড়েছে বলে অভিযোগ নগরবাসীর।
এ অবস্থায় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তবে সিটি করপোরেশন বলছে, মশক নিধনের লক্ষ্যে ওয়ার্ডগুলোতে কাজ শুরু হয়েছে।
রাজশাহীতে সন্ধ্যা নামতে না নামতেই ঝাঁকে ঝাঁকে মশা বাসাবাড়িতে ঢুকে পড়ছে। দরজা জানালা বন্ধ করেও রেহাই পাচ্ছে না নগরবাসী। মশারি, স্প্রে বা কয়েল জ্বালিয়েও দিনরাতে ঠেকানো যাচ্ছে না মশার উপদ্রব।
নগরবাসী বলছেন, ড্রেন ও নালায় জমে থাকা ময়লা আবর্জনার কারণে বর্তমানে মশার প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে নগরী। এমনকি বাথরুমে গেলেও কয়েল নিয়ে যেতে হয় বলছেন তারা।
এ অবস্থায় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়ে বাড়ির আশপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক।
রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে। বাড়ির আশপাশ নালা পরিষ্কার রাখতে হবে। এমনকি ডাবের খোলা, টায়ার টিউব, দইয়ের হাঁড়ি এগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে।
এদিকে মশক নিধনে কাজ শুরু করার কথা জানান সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র।
রাসিক প্যানেল মেয়র-২ (১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর) রজব আলী বলেন, প্রত্যেক ওয়ার্ডে মশা নিধন কার্যক্রম, হলার মেশিন এবং ড্রেনের পরিচ্ছন্নতা সব বিষয় আমাদের নখদর্পণে আছে। আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ত্রিশটি ওয়ার্ডে মশক নিধনের জন্য নতুন ১০টি ফগার মেশিন ও কীটনাশকসহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকার।