স্বস্তির জয় পেলো চেলসি। ইউসিএল মঞ্চে নামার আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিলো থমাস টাচেল বাহিনী। এভারটনকে হারালো ২-০ গোলে।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে শেষ ২৫ ম্যাচে এভারটনের বিপক্ষে হারেনি চেলসি। অথচ এই একই দলের বিপক্ষে অন্য গ্রাউন্ডে গেলেই কি যেন হয়ে যায় ব্লুদের। শেষ ৫ দেখার তিনটিতেই হারতে হয়েছে তাদের। পরিসংখ্যানের এমন বৈপরিত্য নিয়েই আরো একবার নিজেদের মাঠে টফিম্যানদের আতিথ্য দেয় লন্ডনে ক্লাবটি।
সপ্তাহ ঘুরতেই অ্যাতলেটিকোর বিপক্ষে নামতে হবে ইউসিএলের জায়গা ধরে রাখার লড়াইয়ে। তার আগে কোনভাবেই পয়েন্ট হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে আঘাত দিতে রাজি নন থমাস টাচেল। তাই তো, এভারটনের বিপক্ষে সেরা ছাত্রদেরই মাঠে নামান জার্মান বস। অন্যদিকে, পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে সমানে সমান লড়াইয়ের প্রত্যয় কার্লো অনচেলোত্তির শিষ্যদের।
কিন্তু ম্যাচ শুরু হতে সেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিমা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলোনা দু’দলের কারোর মাঝেই। মাঝ মাঠের দখল নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলো তারা। ১৪ আর ১৫ মিনিটে দুটো সুযোগ এসেছিলো স্বাগতিকদের সামনে, যদিও বল থাকেনি লাইনে। ২৮ মিনিটে গোল পেতে পারতো এভারটন, তবে বাঁধার দেয়াল টপকানো হয়নি তাদেরও।
কিন্তু পাল্টা আক্রমণ থেকে জালের ঠিকানা খুঁজে নিতে ভুল করেনি টাচেল বাহিনী। হাডসন ওডোই আর কাইল হাভার্টজের মুন্সিয়ানার পরেও, হয়তো নিষ্ফলাই থেকে যেতো আক্রমণটা। যদি না বেন গডফ্রে সামনে এসে না দাঁড়াতেন। ব্লক করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল ঠেলে দেন এভারটনের এ ডিফেন্ডার। আত্মঘাতি গোলে এগিয়ে যায় চেলসি।
গোল করেও গতি কমায়নি টাচেল বাহিনী। উলটো ৪০ মিনিটে আবারো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিলো তাদের সামনে। কিন্তু পিকফোর্ড ছিলেন সতর্ক প্রহরায়। তাকে ফাঁকি দেয়া হয়নি মার্কোস আলোনসোর। চেষ্টা অব্যাহত ছিলো অতিথিদেরও। কিন্তু এডোয়ার্ড মেন্ডি ছিলেন ত্রাণকর্তা।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের গতি আরো বেড়ে যায় চেলসির। ৫২ মিনিটে গোলও পেয়ে যায় তারা। কিন্তু হ্যান্ডবলের অজুহাতে তা বাতিল করে দেন রেফারি। প্রযুক্তিও কথা বলেনি স্বাগতিকদের পক্ষে।
তবে, ৬৪ মিনিটে আরো আটকানো যায়নি চেলসিকে। পিকফোর্ডের ভুলে পাওয়া পেনাল্টি থেকে স্কোর করেন জর্জিনহো। দুই গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
এরপর গোল শোধের আপ্রাণ চেষ্টা চালায় এভারটন। কিন্তু লাভের লাভ হয়নি। স্বস্তির জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানটাকে আরো মজবুত করে চেলসি।