অবশেষে থামলো ম্যানচেস্টার সিটির টানা ২১ ম্যাচের জয়যাত্রা। হাইভোল্টেজ ডার্বিতে সিটিজেনদের ২-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ম্যাচে হেরে গেলেও, শিরোপা জয়ের পথে ঠিকই নিজেদের ধরে রেখেছে গার্দিওলার দল। ২৮ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা। সমান ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ইউনাইটেড।
ম্যাচ শেষে বড় বিষণ্ণ পেপ গার্দিওলা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২১ জয়ের পর হঠাত করেই ছন্দপতন। গেল ম্যাচেই টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড ছিলো ম্যানচেস্টার সিটির দখলে। কিন্তু পরের ম্যাচেই সব ভেঙ্গেচুরে খানখান।
লিগে সবশেষ কবে হেরেছিলো সিটি তা হয়ত ভুলেই গেছেন সমর্থকরা। গেল নভেম্বরের পর হার নামক শব্দটাই উঠে গিয়েছিলো সিটির নামের পাশ থেকে। তবে, ডার্বি ম্যাচে ইতিহাদে এসে সেটাই সিটিকে মনে করিয়ে দিলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দারুন জয়ে টানা ২২ অ্যাওয়ে ম্যাচে অপরাজিত রইলো রেড ডেভিল।
ম্যানচেস্টার শহরের দুই দলের লড়াই মানেই পরতে পরতে রোমাঞ্চের ছোঁয়া। এবার ইতিহাদে সে উৎসবে শুরুতেই রং ছড়ায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শুরুর বাঁশি বাজার কয়েক মুহূর্তের মাঝেই কপাল পোড়ে সিটির। মার্সিয়ালকে ফাউল করে বসেন জেসুস। পেনাল্টির বাজে বাঁশি। তাতেই খুশি ইউনাইটেড। গোল করেন উড়তে থাকা ফারনানদেস। মেতে ওঠেন উল্লাসে।
২৩ মিনিটে নিজের বোকামির মাসুল গোণেন লুক শ। অল্পের জন্য গোলবঞ্চিত হয় ইউনাইটেড। প্রাথমিক ঝর সামলে ওটার আপ্রাণ চেষ্টা চালায় সিটি। ৪৩ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার পর, গ্যাব্রিয়েল জেসুসও ব্যর্থ হন বলে জ্বালে জড়াতে। গোল না হলেও, গুন্ডোগানদের চেষ্টা ছিলো অব্যাহত। কিন্তু ইউনাইটেড যেন এদিন পণ করেই করেই এসেছে থামাতে হবে সিটির জয়যাত্রা।
৫০ মিনিটে আসে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ। রাশফোর্ডের পাসে গোল করেন লুক শ। প্রথমার্ধে যা পারেননি, দ্বিতীয়ার্ধে তাই করে দেখিয়েছেন এই ডিফেন্ডার। ৭২ মিনিটে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন রাশফোর্ড। হাইভোল্টেজ ম্যাচে বার কয়েক উত্তেজিত হয়েছেন ফুটবলাররা। কিছুটা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন দুই কোচও। তবে, তাতে ইউনাইটেড বীরদের জয়ের পথে কোন বাঁধা হয়নি। শেষ পর্যন্ত থেমেছে ম্যানচেস্টার সিটি। হেসেছে ইউনাইটেড।