চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে না ‘জয় বাংলা কনসার্ট’। ফলে তরুণ সমাজ জয় বাংলা কনসার্টের অভাব অনুভব করছে বলে মন্তব্য করেছেন সিআরআই ট্রাস্টি বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
তিনি বলেছেন, চলতি বছর কনসার্টটি আয়োজন করা হচ্ছে না বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে। এ বছর না হলেও আগামী বছর আরও বড় পরিসরে আয়োজিত জয় বাংলা কনসার্ট।
৭ই মার্চ। বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় এক মহাকাব্য রচনার দিন। বিশেষ এই দিনে জাতির পিতা স্মরণে, তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি আরও ভালোবাসা জাগিয়ে তুলতে ২০১৫ থেকে জয়বাংলা কনসার্ট এর আয়োজন করে আসছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের প্রতিষ্ঠান ইয়ং বাংলা। দেশাত্মবোধক গানসহ জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণ স্মরণে দেশীয় ব্যান্ড দলগুলো এই আয়োজনে পরিবেশন করেন তাদের সেরা পারফর্মেন্স।
তবে, সরাসরি না হলেও এ বছর অতীতে অনুষ্ঠিত কনসার্টের মূল অংশগুলো সন্নিবেশ করে তা ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রচারিত হবে। সিআরআই ও ইয়ং বাংলার ফেসবুক পেইজের পাশাপাশি কিছু গণমাধ্যমও তাদের পেইজ থেকে এ অনুষ্ঠানটি অনলাইন সম্প্রচার করবে।
২০১৬ তে জয় বাংলা কনসার্টে প্রথম বারের মতো জাতির পিতার ভাষণের রঙিন সংস্করণ প্রদর্শিত হয়। এছাড়া ২০২০ এ হলোগ্রাফ ভিজ্যুয়ালের মাধ্যমে ৭ই মার্চের ভাষণ আরও জীবন্ত হয়ে ওঠে তরুণ প্রজন্মের কাছে। গানের পাশাপাশি জাতির পিতার দুই কন্যাসহ পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি তরুণ প্রজন্মকে দারুণভাবে উদ্দীপনা যুগিয়ে আসছে গেল অর্ধযুগ ধরে।
প্রথমবারের মতো ৭ মার্চের ভাষণের রঙিন ভিডিও প্রদর্শন:
২০১৬ সালে দেশের বৃহত্তম এই কনসার্টে বিশেষ আয়োজন ছিল প্রথমবারের মতো জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের রঙিন ভিডিও প্রদর্শন। এদিন রাত ৮টা ৩০ মিনিটে ৩০ হাজার দর্শক সরাসরি আর্মি স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণের রঙিন ভিডিও দেখেন। অবশ্য বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের কাছে বঙ্গবন্ধুর মূল ভাষণে সম্পূর্ণ ১৭:৫০ মিনিট না থাকায় ১১:৪০ মিনিট হাই ডেফিনিশন (এইচডি) রঙিন ভিডিও হিসেবে কনভার্ট করে কনসার্টে প্রচার করা হয়, যা মুগ্ধ হয়ে দেখে উপস্থিত সবাই।
কলেজ শিক্ষার্থী রাজিন জানান, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের রঙিন ভিডিও প্রদর্শন আমার কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জাতির পিতাকে রঙিন ভিডিওতে দেখা অন্য রকম একটি প্রভাব রাখে আমার কাছে। এটি বর্তমান সময়ের সকলকে বঙ্গবন্ধুর সেই সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
২০২০ সালে প্রথমবারের মতো থ্রি-ডি হলোগ্রাফে ৭ মার্চের ভাষণ প্রদর্শন:
২০২০ সালে অবাক হয়ে সকলে চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে ওঠা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে দেখতে পায়। ৫০ বছর আগে যেই জনসমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দেন, তা হলোগ্রাফের মাধ্যমে জীবন্ত হয়ে ওঠে। জাতিসংঘ স্বীকৃত বিশ্বের স্মরণীয় ঘটনা হিসেবে স্থান পাওয়া বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণ আরও একবার বাস্তবতায় ফিরে আসে এই হলোগ্রাফিক ভিজুয়ালের মাধ্যমে।
বঙ্গবন্ধুর এই হলোগ্রাফিক ভাষণ প্রদর্শনের আগে কনসার্টে প্রদর্শন করা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানাকে। সেখানে শেখ হাসিনার আবৃত্তি করা একটি কবিতাও প্রদর্শন করা হয়।
গত বছর কনসার্টের আরেকটি বড় আকর্ষণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানার উপস্থিতি।