বিকেএসপিতে ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নিতে সকাল থেকেই ছাত্র ও অভিভাবকদের ঢল নামে সাভারে। যাদের অধিকাংশই এসেছেন ঢাকার বাইরের জেলা থেকে। কেউ হতে চান ক্রিকেটার, কেউবা ফুটবলার। কেউ আবার ঝড় তুলতে চান ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে। সন্তানের নিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য অভিভাবকরাও আগ্রহী হচ্ছেন বিকেএসপিকে ঘিরে।
খলিলুর রহমান। বয়স ৫৭, পেশায় দলিল লেখক। নরসিংদী থেকে এসেছেন বিকেএসপিতে। ক্রিকেটের দেশে স্বপ্ন দেখেন ছেলেকে বানাবেন ফুটবলার। আর সে জন্য বেছে নিয়েছেন বিকেএসপিকে।
একই স্বপ্ন নিয়ে টাঙ্গাইল থেকে নূপুর, রাজবাড়ী থেকে সন্তানকে নিয়ে এসেছেন জাবেদ মিয়া। বিকেএসপি যেন তাদের কাছে এক আস্থার নাম।
কয়েক বছর আগেও খেলাধুলাকে পেশা হিসেবে নিতে আপত্তি ছিল অভিভাবকদের। তবে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলেছে সেই চিত্রনাট্য। তাইতো আগ্রহ বেড়েছে অভিভাবকদেরও। প্রিয় সন্তান যখন নেমেছে ভর্তিযুদ্ধে, তখন নিরুত্তাপ চোখে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন বাবা-মায়েরা।
ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের চাওয়াও অভিন্ন। তারা বলছেন, যে স্বপ্ন তারা দেখছেন শৈশব থেকে তার বাস্তব রূপ দিতে চান বিকেএসপিতে।
ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম ধাপে উত্তীর্ণদের আরও দুই ধাপে দিতে হবে পরীক্ষা। সর্বশেষ এখান থেকে সুযোগ মিলবে ২২৫ জন শিক্ষার্থীর।