ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-যশোর মহাসড়ক যেন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। এখানে রাস্তার দুপাশের গতিরোধক ক্ষয় হতে হতে বিলুপ্তের পথে, রাস্তায় নেই কোন সতর্কীকরণ গতিসীমার প্রতীক চিহ্ন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সামনে কোনোরকম গতিরোধক না থাকায় প্রতিনিয়ত বড় ধরণের দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পারাপার করছেন শিক্ষার্থীরা।
এই জায়গাটি অত্যন্ত জনবহুল হওয়ায় এখান দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঝুঁকিপূর্ণভাবে রাস্তা পারাপার হতে হয়। তাছাড়া কুষ্টিয়া-যশোর মহাসড়ক হওয়ায় ভারী যানবাহনের চলাচল বেশি। যে কোনো সময় এখানে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগে সামনের রাস্তায় উভয় অংশে গতিরোধক ঠিক করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পূর্বে প্রধান ফটকের মহাসড়কে দুইপাশে দুইটি গতিরোধক থাকলেও বর্তমানে সেটির বেহাল দশা। যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে সর্বোচ্চ গতিসীমা ২০/৩০কি.মি. থাকার কথা সেখানে ওভারটেকের হিড়িক পড়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন এই মহাসড়কে।
গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেরকম কোনো ব্যবস্থা নেই। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিনিয়ত রাস্তা পার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
এ ব্যাপারে বেশ কজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গতিরোধকের এই বেহাল দশা সত্যিই হতাশাজনক! তার ওপরে দুইপাশে নেই কোনো সতর্কীকরণ গতিসীমার সাইনবোর্ড। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হয়।
স্বপ্ন নামে একজন শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বেপরোয়া যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে ভগ্নদশা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের জীবনের মূল্য যদি প্রশাসন না বোঝে, তবে বাস-ট্রাকের ড্রাইভারেরা কি বুঝবে!
তিনি আরও বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসন পূর্বের মতো গতিরোধক ঠিক করে পরিবহনগুলোর বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা করি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এই বিষয়ে দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রকৌশল অফিসকে আমি অবহিত করে অতিসত্বর সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।
মুরতুজা/