রাজশাহীতে মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে সব আমের বাগান। মুকুলের মান বাড়াতে ও টেকাতে যত্নে ব্যস্ত বাগানিরা। অনুকূল আবহাওয়া ও পোকার আক্রমণ কম থাকায় এ বছর আমের বাম্পার ফলন হতে পারে বলে জানান ফল গবেষকরা।
ঋতুরাজ বসন্তের সবুজ সতেজ প্রকৃতিতে গাছে গাছে আমের মুকুল। সুসজ্জিত মুকুল বাড়িয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। আম ফুলের মিষ্টি মৌ-মৌ গন্ধে ভাসছে চারপাশ।
ফল গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য বলছে, এ বছর মুকুলের অঙ্কুরকাল পেয়েছে অনুকূল আবহাওয়া, নেই পোকার আক্রমণও। ফলে জেলার ১৭ হাজার হেক্টর বাগান জুড়ে ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ফজলি, হিমসাগর, মোহনভোগ ও আম্রপালিসহ গাছে এসেছে প্রায় আড়াইশ’ জাতের আমের মুকুল। তার পরিচর্যায় কীটনাশক ছিটিয়ে বাগান যত্নে মনোযোগী বাগান মালিকরা।
ব্যবসা-বাণিজ্যে করোনার সংকটকাল কেটে ওঠা ও প্রাকৃতিক বৈরিতার মুখোমুখি না হওয়ায় এবার আমের দাম ও উৎপাদন নিয়ে আশাবাদী বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
তবে ফল গবেষকদের পরের ধাপগুলোতেও সঠিক যত্নের পরামর্শ দিচ্ছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, চলতি বছর রাজশাহীতে আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় দুই লাখ মেট্রিক টন।