আর স্বল্পোন্নত নয়, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। যদিও অর্থনীতিতে আছে ঝুঁকি। নানা রকম বাধা আর শর্তের বেড়াজালে বন্দি হতে পারে বাণিজ্য। এরপরও এই স্বীকৃতিতে রাজনীতি আর অর্থনীতির বৈশ্বিক আঙিনায় মাথা উঁচু করেই দাঁড়িয়ে থাকতে চায় বাংলাদেশ।
দীর্ঘ সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ওষুধের শক্তিশালী এক বাজার তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। এখন বহু জটিল রোগের পথ্য তৈরি হয় এ দেশে। কিন্তু এই তথ্যের পেছনে আছে বিরাট এক সত্যি। বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধের প্রায় শতভাগই ভিন্ন কোনো দেশের ফর্মুলায়, যা স্বলোন্নত দেশ হিসেবে এত দিন বিনামূল্যে পেত বাংলাদেশ।
জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশে তা বন্ধ হওয়ার শঙ্কা জাগলেও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, সুবিধা অব্যাহত থাকবে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত।
অর্থনীতিবিদ ড. মাসরুর রিয়াজ বলেন, নিজের থেকে যে আমরা কোনো ড্রাগ বানাই বা ফর্মুলা আমরা আবিষ্কার করে ড্রাগ বানাই, সেটা অলমোস্ট শূন্যের কোটায়।
ইউনিহেলথ লিমিটেডের পরিচালক সুভাষ সিংহ রায় বলেন, এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে যে রকম সুবিধা পেতাম। সেই সুবিধা অনেক ক্ষেত্রে ২০২৬ সালের পরে আর পাব না। কিন্তু ওষুধের ক্ষেত্রে সেই সুবিধাটা আমরা ২০৩৩ সাল পর্যন্ত পাব।
যদিও হারাতে হবে এলডিসি হিসেবে বহু দেশে পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা কিংবা অল্প শুল্ক সুবিধাও। বিপরীতে দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সঙ্গে দরজা খুলবে বিনিয়োগের। তাই অর্জনে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ, স্বপ্ন দেখছে নতুন দিনের।
কিছু ঝুঁকি থাকলেও তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরাও। সুবিধা হারানো নিয়ে চিন্তিত না হয়ে, বরং বিকল্প উপায়ে তা পেতে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান তাদের।
এর আগে অনেক দেশ এগিয়ে গিয়েও পিছিয়ে গেছে। তাই চূড়ান্ত স্বীকৃতির জন্য এখন অপেক্ষা ২০২৬ সালের। যদিও খোদ জাতিসংঘই মনে করছে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই নেই।