সিরাজগঞ্জে দুটি হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া দুই শিশুকে উদ্ধার করেছে সলঙ্গা থানা পুলিশ। এর মধ্যে চার দিন আগে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া ২৩ দিন বয়সের শিশুটি মারা গেলেও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে একদিনের নবজাতককে। এ ঘটনায় জড়িত চোর চক্রের পাঁচ নারী ও এক পুরষকে আটক করা হয়েছে।
তারা হলেন- উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানাধীন আলোকদিয়া গ্রামের মৃত সোলায়মান হোসেনের স্ত্রী সয়রন বিবি, তার মেয়ে আলপনা খাতুন, ছেলে রবিউল ইসলাম, রবিউলের স্ত্রী ময়না খাতুন, একই গ্রামের মৃত সাইফুল ইসলামের স্ত্রী মিনা খাতুন ও রেজাউলের স্ত্রী খাদিজা খাতুন।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড থেকে বোরখা পরা এক নারী ২৩ দিন বয়সী শিশু মাহিমকে চুরি করে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুলের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চুরি হয় নবজাতক সামিউল।
পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম জানান, ঘটনার পরে জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়। কিন্তু কোনো হদিস না পাওয়ায় হাসপাতাল এবং মহাসড়কের আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসি টিভির ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করা হয়। ফুটেজে দেখা যায়, এক মহিলা নবজাতক সামিউলকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানে উঠে নলকার দিকে যায়। পুলিশ ভ্যানচালককে আটক করে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সলঙ্গা থানার আলোকদিয়া গ্রামে সোলায়মানের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তাদের কাছ থেকে শিশু সামিউলকে উদ্ধার করা হয় এবং ছয়জনকে আটক করা হয়।
এরপর ঘটনাস্থলেই তাদেরকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের ২৩ দিন বয়সী শিশু মাহিমকে অপহরণের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে চোরচক্রের সদস্যরা সেই শিশুটিও চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে ওই বাড়ির একটি ঘরের ধানের ডোলের ভেতর থেকে মৃত অবস্থায় শিশু মাহিমকে উদ্ধার করা হয়।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, আটকদের থানায় জিজ্ঞাসাবদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় রোববার সলঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে।