যতই দিন যাচ্ছে ঘরে বাইরে মিয়ানমারের সংকট আরো তীব্র হচ্ছে। এবার জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত সরাসরি অবস্থান নিলেন সেনা সরকারের বিরুদ্ধে। বললেন, গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজন আন্তর্জাতিক বলপ্রয়োগ। তবে তা হতে দেবে না বলে জানিয়েছে চীন ও রাশিয়া। এ অবস্থায়, সেনাপ্রধানসহ অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত ছয় সামরিক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ব্রিটেন। এখনও দেশজুড়ে জান্তাবিরোধী তুমুল আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। ফের ঘটেছে সহিংসতার ঘটনা।
গণতন্ত্রের মৃত্যুতে ফুঁসে উঠেছে মিয়ানমার। লাখ লাখ মানুষের একটাই প্রশ্ন, কবে উঠবে মানবাধিকারের সূর্য? সামরিক জান্তা আর তাদের দোসরদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে, শনিবারও ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় নামেন মানুষ। সেখানে ফের ঘটে সংঘর্ষের ঘটনা। আহত হন অনেকে।
সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘকে আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত। শুক্রবার জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত জনগণের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য এ আহ্বান জানান।
জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিয়াও মোয়ে তুন বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বললো, সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় যে কোনো ব্যবস্থা নিন। মিয়ানমারের জনগণকে রক্ষা করা খুবই জরুরি। পাশাপাশি মুক্তি চাই, অং সান সু চিসহ গ্রেফতার অন্যান্যদের।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বিদেশি হস্তক্ষেপের কথা বললেও, তা নিয়ে আপত্তি জানান চীন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা। তারা পশ্চিমাদের ইঙ্গিত করে বলেন, অন্য কোনো শক্তি এখানে এলে মিয়ানমারের স্বাধীনতার হরণ হবে। তা কিছুতেই বেইজিং ও মস্কো মেনে নেবে না।
এ অবস্থায় অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত ছয় সেনা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য। এর মধ্যে রয়েছেন সেনাপ্রধানও। পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকায় আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মঙ্গলবার জরুরি বৈঠকে বসবেন। আর নির্বাচন কমিশন কিছু রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে আলোচনা করে জানিয়েছে, সংবিধানের আলোকে দ্রুতই একটি নির্বাচন দেয়া যায় কিনা তারা সেটি নিয়ে কাজ করবেন।