কোভিডমুক্ত নিরাপদ আকাশ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিতে সরকারকে ডিজিটাল স্বাস্থ্য পাস চালু করার আহবান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য কেন্দ্রিক বিমান সংস্থাগুলির সংগঠন আইএজি। ভ্রমণের ক্ষেত্রে আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের জন্য সঠিক সময় নির্ধারণ করে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দিতেও সংস্থাটি আহবান জানিয়েছে।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজসহ আইএজি সদস্যরা প্রত্যাশা করছে, মধ্য মে থেকে যুক্তরাজ্য সরকার ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে আকাশপথে যোগাযোগ বাড়বে। তবে কোনো কোনো রুট চালু হবে এ ব্যাপারে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
আইএজি বলছে, মহামারির দীর্ঘ ব্যাপ্তি এবং চলমান অনিশ্চয়তায় মনে হচ্ছে ভবিষ্যত লাভের পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব নয়।
এক পোস্টে আইএজি জানিয়েছে, কোভিডের কারণে আকাশপথের সেবা বিঘ্নিত হওয়ায় ২০২০ সালে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিমান সংস্থাগুলো। মহামারির কারণে এয়ারলাইন্সগুলোর অনেক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় শুধু পরিচালন ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাত বিলিয়ন ডলার। আইএজি’র পরিচালক লুইস গাল্লেগো বলেছেন,‘আমরা আমাদের আকাশ পথকে নিরাপদে আবার উন্মুক্ত করতে কোভিড পরীক্ষার আন্তর্জাতিক সাধারণ মানদণ্ড এবং ডিজিটাল স্বাস্থ্য পাস চালুর আহ্বান জানাচ্ছি।’
হারগ্রিভস ল্যান্সডাউনের ইক্যুইটি বিশ্লেষক লরা হো বলেছেন, ‘নতুন তহবিল যোগান এবং ব্যয় কমানোর মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ সংকট মোকাবিলার চেষ্টা করছে, যদিও শেষ পর্যন্ত এয়ারলাইন্সগুলোকে সরকারের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অপেক্ষায় থাকতে হবে।’
কিভাবে আরও বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া যায় সে বিষয়ে ঐক্যমত্যে পৌছাতে সরকার জি -সেভেন এবং অন্যান্য দেশের সাথে আলোচনা করছে।
আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা- আইএটিএ’র প্রত্যাশা এক সপ্তাহের মধ্যেই ডিজিটাল কোভিড পাস তৈরি হবে। পাসটি হবে এমন একটি অ্যাপ্লিকেশন যা নিশ্চিত করবে কোনও দেশে প্রবেশের জন্য যাত্রীর কোভিড-১৯ পরীক্ষার সনদ ও করোনার টিকা দেয়া আছে। সেই সঙ্গে এসব সনদ সংশ্লিষ্ট্য দেশের অনুমোদিত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছিল বলে যাচাই করে দেখবে।
আএটিএ’র পরিবহন সেক্রেটারি গ্রান্ট শ্যাপস বলেন, নতুন ধরণের কোভিডের ঝুঁকি মোকাবিলা করে কীভাবে আন্তর্জাতিক ভ্রমণে ফিরে আসা যায় সে বিষয়ে ১২ এপ্রিল একটি পর্যালোচনা রিপোর্ট দেয়া হবে।
আইএজি জানিয়েছে, যে ভ্রমণে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত বিধিনিষেধের মধ্যে গত বছর আয় ৬৯ শতাংশ হ্রাস পেয়ে সাড়ে ২৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।