উইঘুর মুসলিম নির্যাতন ইস্যুতে পশ্চিমাদের বেশ চাপে পড়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এরই মধ্যে একে গণহত্যা হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে অনুমতি দিতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে পশ্চিমাদের সব সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে বেইজিং।
গত কয়েক মাস থেকেই উইঘুর ইস্যুতে পশ্চিমা গণমাধ্যমে একের পর এক শিরোনামে চীন। বন্দিশিবিরগুলোতে মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগে দেশটির বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো।
উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীনা আচরণকে গণহত্যা বলে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। চীন সরকার আচরণ না পাল্টালে ২০২২ সালের শীতকালীন অলিম্পিক বেইজিং থেকে সরিয়ে নিতেও চাপ দিচ্ছে তারা।
তবে নির্যাতনের প্রতিবাদ জানালেও চীন থেকে শীতকালীন অলিম্পিক বয়কটের বিপক্ষে নিজের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
এদিকে উইঘুরদের অবস্থা সরেজমিনে দেখতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদলকে জিনজিয়াং প্রদেশে প্রবেশের অনুমতি দিতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তাদের শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় এমন কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখতে হবে। সেখানে একটা স্বাধীন পর্যবেক্ষণ দল গেলে সব জানা যাবে।
এদিন আবারও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে চীন। জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত জানান, পশ্চিমা দেশগুলো যে অভিযোগ এনেছে তার সবই ভিত্তিহীন।