হল খোলার দাবিতে অনড় রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলের দিকে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় অতি দ্রুত হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
এদিকে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের দেওয়া আল্টিমেটাম আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকাল চারটার দিকে শেষ হলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের পরবর্তী কর্মসূচি জানাবেন বলে। এদিকে হল খোলার দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন করেছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লাবনী বন্যা বলেন, করোনার সময়ে হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হলো। কিছুদিন পর শিক্ষার্থীদের সমস্যা বিবেচনা না করে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা হল। শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারবে কিনা সেটা তাদের চিন্তার মধ্যে ছিল না। এভাবে ক্লাস নেওয়ার পর তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা না করে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিল। তারপর অনেক বিভাগে পরীক্ষা নেওয়া হল। শিক্ষার্থীদের বাসা বা মেস ভাড়া নিয়ে সেখান থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হল। তখন দেশে করোনা ছিল না। যখন শিক্ষার্থীদের থাকা নিয়ে প্রশ্ন আসলো তখন করোনা চলে আসলো। পরীক্ষা হলে থেকে দেবে এটাই শিক্ষার্থীদের অধিকার। এখন হঠাৎ করে ক্লাস পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে এতদিন যে করোানার মধ্যে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিল তখন আপনাদের করোনা কোথায় ছিল।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে শিক্ষার্থীবান্ধব নয় তার প্রমাণ তারা অনেক আগে থেকে দেখিয়ে আসছে। তারা শিক্ষার্থীদের কথা ভাবে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানাবো শিক্ষার্থীদের সমস্যা বিবেচনায় তাদের হল খোলে দেওয়া হোক। যদি না দেওয়া হয় তাহলে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মন তমা, ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত ফাহাদ প্রমুখ।