সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে গত এক বছর সাত মাসে বিজিবির হাতে আটক হওয়া প্রায় ৪ কোটি ৭৮লাখ ৬৭হাজার ৩৩০ টাকার বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য ধ্বংস করেছে ৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সিলেট।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেটের আখালিয়ায় ৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে ওই মাদক দ্রব্য ধ্বংসকরণ ও মতবিনিময় সভার উদ্বোধন করেন বিজিবির উত্তরপূর্ব রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম নওরোজ এহসান।
ধ্বংসকৃত মাদক দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১৯ হাজার ৮৮ বোতল ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, ৪ হাজার ২১ বোতল ফেনসিডিল, ৯ হাজার ৭৯৩ পিস ইয়াবা, ৯২ কেজি গাঁজা ও ৬ লাখ ৬৯ হাজার পিস ভারতীয় বিড়ি।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা জানান, মাদক দেশের তরুণ ও যুব সমাজকে বিপথগামী করে তুলছে। মাদকের হাত থেকে তরুণ ও যুবসমাজকে রক্ষা করা জরুরি। মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। মাদক হলো সমাজের শত্রু, তাই শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নয়, সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে মাদক নির্মূলে। মাদক দ্রব্য ব্যবহারের কারণে মানুষের নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলেও জানান বক্তরা।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম নওরোজ এহসান বলেন, মাদক চোরাচালান বন্ধে আরও কঠোর হচ্ছে বিজিবি। যেকোন মূল্যে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বদ্ধ পরিকর বিজিবি।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-মহাপরিচালক (সেক্টর কমান্ডার) কর্ণেল মোহা. আমিরুল ইসলাম, পরিচালক অধিনায়ক লে. কর্ণেল আহমেদ ইউসুফ জামিল, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা চৌধুরী, সিলেট কাস্টমস’র সহকারী কমিশনার প্রভাত কুমার সিংস, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. আশিস বিন হাছান, পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক মো. সামছুজ্জামান সরকার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলেটের পরিদর্শক কবিরুল হাসান, বিজিবি ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক (উপ-অধিনায়ক) মেজর বিএম সামিন মনোয়ার প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৩ জুন থেকে ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় ভারত থেকে অবৈধভাবে নিয়ে আসা এসব মাদক দ্রব্যগুলো উদ্ধার করা হয়।