মাদক মামলায় দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি ছিলেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের এবাদুল্লাহ প্রামাণিক (৪৮)। তবে তিনি ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। দণ্ডাদেশ পাওয়ার পরও ছিলেন পলাতক। তাকে খুঁজে খুঁজে হয়রান খোদ পুলিশ সদস্যরাই। চতুর এই ব্যক্তি অবশেষে ধরা পড়েছে পুলিশের হাতে।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিংড়ার হাতিয়ান্দহ রাখসার বিল থেকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন মাদক মামলায় দুই বছরের দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত এবাদুল্লাহ প্রামাণিক। তিনি উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে। তাকে গ্রেফতারে কৃষক সেজে বিলে এসেছিলেন সিংড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবুল হাশেম ও সেলিম রেজা।
উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম জানান, ‘বছর খানেক আগে একটি মাদক মামলায় অভিযুক্ত হবার পর দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত এবাদুল্লাহ প্রামাণিককে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। কিন্ত তখন তিনি পলাতক ছিলেন। তাকে ধরতে পুলিশ একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করেও ব্যর্থ হয়। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে একেবারে সাধারণ কৃষকের বেশে তিনি দিনের বেলায় দুর্গম বিলে কৃষি কাজ করতেন।’
তিনি আরও জানান, 'খোঁজ আসে এবাদুল্লাহ আজ দুপুরে রাখসার বিলে অবস্থান করছেন। তিনি একাকী কাজ করছিলেন। তখন আমরা তাকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু পুলিশের পোশাক পরিধান করে বিল অতিক্রম করলে সে টের পেয়ে যাবে। তাই আমরা লুঙ্গি পরিধান করে হাঁটু কাদা মাড়িয়ে একদম কৃষক বেশে এবাদুল্লার কাছে চলে যাই এবং সে পালাতে গেলে তাকে দৌড়ে ধরতে সমর্থ হই। প্রচণ্ড শীতের মধ্যে আমরা কাদাপানিতে নেমেছি, তবে এটা ভেবে ভালো লেগেছে যে আমরা আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি।'
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘পুলিশকে ফাঁকি দিতে এবাদুল্লাহ সব ধরনের চেষ্টাই করে গেছেন। কিন্তু পুলিশের বুদ্ধিমত্তার কাছে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। সন্ধ্যায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।'