কক্সবাজারের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নোয়াখালীর ভাসানচর পাঠাতে চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে তৃতীয় দফায় রোহিঙ্গাদের বহনকারি ৩৫ টি বাস ছেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা ১২টা ২০ মিনিটে উখিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠ থেকে এসব বাস রওনা হয়েছে বলে জানান স্থানীয় দোকানী আবুল কালাম। তবে চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে ছেড়ে যাওয়া এসব বাসে কি পরিমাণ রোহিঙ্গা রয়েছে তা তিনি জানাতে পারেননি।
তৃতীয় দফায় রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের ব্যাপারে বরাবরের মত এবারও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা বলছে, চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে ছেড়ে যাওয়া এসব বাসে অন্তত ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা রয়েছে। রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাসগুলোর সামনে ও পেছনে র্যাব, পুলিশসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন এবং গত ২৮ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৫ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
স্থানীয়রা বলছেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রাতেই উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। রাতেই উখিয়া ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো করা হয় অন্তত ৫০ টি বাস।
স্থানীয় মুদির দোকানী আবুল কালাম বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ২০ মিনিটে প্রথম দফায় রোহিঙ্গাদের বহনকারি ৩৫টি বাস ছেড়ে যেতে দেখেছেন তিনি।
উখিয়ার স্থানীয় সাংবাদিক শফিক আজাদ বলেন, বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় ৩৫ টি বাস রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে উখিয়া ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাস পর্যন্ত এলাকাজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সেখানে সাধারণ মানুষের চলাচলেও বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনানুষ্ঠানিক বক্তব্যে জানান, তৃতীয় দফায় স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে আগ্রহী অন্তত দেড়-সহস্রাধিক রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গাদের বৃহস্পতিবারই বাস যোগে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে সেখান থেকে এসব রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।