কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধারকৃত মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ৩০৩ (থ্রি নট থ্রি) রাইফেলের ১১৫ রাউন্ড গুলি মুক্তিযুদ্ধের স্মারকচিহ্ন হিসেবে সংরক্ষণ এবং প্রদর্শনের জন্য জেলা শহরে অবস্থিত দু'টি জাদুঘরে দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ৪৪ রাউন্ড গুলি জেলা পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রহশালা ও গ্রন্থাগারে এবং ৭১ রাউন্ড গুলি উত্তরবঙ্গ জাদুঘরে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে পরিত্যক্ত ৪৪ রাউন্ড গুলি জেলা পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রহশালা ও গ্রন্থাগারের দেওয়া হয়। সংগ্রহশালা ও গ্রন্থাগারের পক্ষে পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা গুলিগুলো গ্রহণ করেন। নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রওশন কবির এবং এসআই সুভাষ চন্দ্র রায় গুলিগুলো তার কাছে হস্তান্তর করেন।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের বোর্ড অফ ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ও পাবলিক প্রসিকিউটর এসএম আব্রাহাম লিংকনের কাছে পরিত্যক্ত ৭১ রাউন্ড গুলি হস্তান্তর করা হয়েছে।
নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জের আবেদনে দায়েরকৃত মিস কেস নং-০৭/২০২০ (নাগ) প্রেক্ষিতে কুড়িগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মাহমুদুল ইসলাম গুলিগুলো এই দুই জাদুঘরের কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার আদেশ দেন।
গত ৪ জানুয়ারি দেওয়া আদেশে হাসান মাহমুদুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত ৩০৩ রাইফেলের ১১৫ রাউন্ড গুলির ঐতিহাসিক মূল্য রয়েছে। বিধায় আলামতগুলি নতুন প্রজন্মের কাছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের স্মারক চিহ্ন হিসেবে উপস্থাপনের জন্য উত্তরবঙ্গ জাদুঘর ও জেলা পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রহশালা ও গ্রন্থাগারে সংরক্ষণ করা হবে।
নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রওশন কবির জানান, বিগত ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের ছিলাখানা ধনীরপাড় গ্রামে একটি সেপটিক ট্যাংকের জন্য গর্ত করার সময় শ্রমিকরা ৩০৩ (থ্রি নট থ্রি) রাইফেলের ১১৫ রাউন্ড গুলি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ অবস্থায় পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলিগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এতদিন গুলিগুলো থানার মালখানায় সংরক্ষণে ছিল।