নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার পানিপাড়া গ্রামে কয়েকবছর যাবত বেড়েছে পাখির আনাগোনা। শীত মৌসুমের অতিথি পাখিই শুধু নয়, বছরের বেশিরভাগ সময়ই এলাকাটি থাকে দেশি-বিদেশি নানা জাতের পাখির দখলে।
কালিয়া উপজেলার পানিপাড়া গ্রামে মানুষের বিনোদনের জন্য তৈরি করা হয় ৫০ একর আয়তনের অরুণিমা রিসোর্ট। তবে এই রিসোর্ট যেন হয়ে উঠেছে পাখির অভয়ারণ্য। নির্ভয়ে, নিঃসংকোচ ঝাঁক বেঁধে ওড়ার দৃশ্যই জানান দেয়-পাখিরা এখানে গড়ে নিয়েছে আপন রাজ্য।
ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই তাদের জীবিকার ব্যস্ততা। বক, সারস, পানকৌড়ি, শালিক, শ্যামাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী চেনা-অচেনা অসংখ্য পাখি চলে যায় খাদ্যের সন্ধানে।
খাবারের প্রয়োজনে ভিন্নভিন্ন গন্তব্য হলেও বেলা গড়াতেই তাদের ফিরে আসা চিরচেনা অরুণিমার গাছের আস্তানায়। পাখিদের কল্যাণে অজপাড়াগাঁ এখন পর্যটনের সম্ভাবনায় ভরপুর। একসঙ্গে এত পাখি দেখার সুযোগ পাওয়া বিরল ঘটনা বলে মনে করেন দর্শনার্থীরা।
এক দর্শনার্থী বলেন, গাছে গাছে যেমন ফুল ধরে তেমনি মনে হচ্ছে গাছে গাছে পাখি ধরেছে। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আসে। আর এত সুন্দর পরিবেশ দেখে যে কারো মন ভাল হয়ে যাবে।
ব্যক্তিউদ্যোগে গড়ে ওঠা বিনোদন কেন্দ্রটিতে পাখিদের নিরাপত্তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান সংশ্লিষ্টরা।
অরুণিমা রিসোর্টের ম্যানেজার ইনচার্জ মুনিব খন্দকার বলেন, এই পাখিগুলোর জন্য এখানে আলাদাভাবে সিকিউরিটি দিয়ে রাখতে হয়। এই পাখিগুলো কিন্তু আমাদের এখান থেকে খাবার খায় না। বিকালে ৪টার দিকে আসে সারারাত থাকে আবার ফজরের নামাজের পর পর চলে যায়।
দর্শনার্থী ও কর্তৃপক্ষ মনে করেন, আশপাশের উন্মুক্ত জলাশয় ও পাখিদের বিচরণ কেন্দ্রগুলোতে সুরক্ষা এবং প্রাকৃতিক খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রশাসন ও এলাকাবাসীর ইতিবাচক ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।