সাতক্ষীরার মাগুরায় গৃহবধূ বিউটির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী শিক্ষক সাধন সাধুকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, স্বামীর পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ার জের ধরে অমানুষিক নির্যাতনে বাধ্য হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ওই গৃহবধূ।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা বিষ্ণুপদ সাধু খা বাদী হয়ে মেয়ের স্বামী, শাশুড়ি ও বৌদিকে আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি আত্মহত্যার প্রচারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দশ বছর আগে ঝিনাইদহ জেলা সদরের চাকলাপাড়া গ্রামের বিষ্ণুপদ সাধু খার মেয়ে বিউটির সাথে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় কালিদাস সাধুর ছেলে শিক্ষক সাধন সাধুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নানা অজুহাতে তার উপর নির্যাতন চালানো হতো। তাকে ঠিকমত খেতে দেয়া হতো না। এমনকি চিকিৎসাও করাতো না বলে অভিযোগ তার মা-বাবার। তাদের একটি চার বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে।
স্কুল শিক্ষক সাধন সাধুর পরকীয়া প্রেম নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা চরমে পৌঁছায়। সহ্য করতে না পেরে বিউটি তার মা-বাবাকে মোবাইলে তার কাছে আসতে বলে। কিন্তু তার আসার আগেই সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তার পরিবারের অভিযোগ তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের মা সবিতা সাধু বলেন, আমার মেয়েকে জ্বালা দিয়ে আত্মহত্যায় বাধ্য করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের ইতিমধ্যে নিহত গৃহবধূর স্বামী স্কুল শিক্ষক সাধন সাধুকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।