খুনের পর প্রমাণ না রাখতে পেট্রোল ঢেলে মরদেহ পুড়িয়ে দেয়া হয়। ঘটনার ২০ দিন পর ধরা পড়ে খুনি মাইনা রামুলু (৪৫)। ভারতের তেলেঙ্গনার জুবিলি হিলসে সাংঘাতিক এই ঘটনার তদন্তে নেমে চোখ কপালে উঠে দুঁদে পুলিশের।
পুলিশি জেরায় বেরিয়ে আসে দুর্ধর্ষ সব খুনের কাহিনী।
রামুলু পুলিশকে জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সে রামুলুকে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের কয়েকদিনের মাথায় অন্য পুরুষের সঙ্গে তার স্ত্রী পালিয়ে যায়। এরপর থেকেই নারীদের প্রতি অদ্ভুত আক্রোশ জন্মায় তার। সেই আক্রোশ থেকেই সে এক একে ১৮ জন নারীকে খুন করে।
পুলিশ সূত্রের বরাতে নিউজএইটটিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের খাতায় একাধিক অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার রেকর্ড রয়েছে রামুলুর বিরুদ্ধে। এমনকি দীর্ঘদিন জেল খাটার পরে সংশোধনাগার থেকে ২০১১ সালে পালিয়ে যায় সে।
গত ৪ জানুয়ারি জুবিলি হিলসে ভেঙ্কাতাম্মা নামের এক নারী খুনের ঘটনায় হায়দ্রাবাদ এবং রাচাকোন্দা পুলিশের যৌথ অভিযানে মাইনা রামুলুকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপরেই সামনে আসে সিরিয়াল কিলার রামুলুরের কাহিনী।
রাচাকোন্দার পুলিশ কমিশনার মহেশ ভগবত জানিয়েছেন, জেরায় রামুলু জানিয়েছে স্থানীয় সরাইখানায় যেসব নারী একাকী আসতেন, তাদেরকেই টার্গেট করত সে। অর্থের বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিত। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেলেই বন্ধুত্ব তৈরি করত তার সঙ্গে। ধীরে ধীরে সখ্যতা তৈরি হয়ে গেলে, তাকে খুন করে দামী জিনিস নিয়ে পালিয়ে যেতো।
পুলিশ জানিয়েছে, রাচাকোন্দা পুলিশ কমিশনারেট, মেহেবুবানগর এবং রাঙ্গারেড্ডি জেলার ১৮ নারীকে এভাবেই একে একে খুন করে সে।
পুলিশ জানিয়েছে, রামুলু পেশায় পাথর কাটার শ্রমিক। ৪ জানুয়ারির আগে ২১টি মামলায় সে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়, তার মধ্যে ১৬টি খুনের মামলা।