চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে আকাশপথে চট্টগ্রাম ছুটে গিয়েছিলেন শোবিজের একঝাঁক তারকা। তাদের মধ্যে ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজও। নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে তিনি বলেছিলেন, চট্টগ্রাম আসার পথে রাস্তা দেখে বাংলাদেশের মনে হয়নি, ইউরোপের রাস্তা বলে মনে হয়েছে।
এমন বক্তব্যের কারণে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ। নেট দুনিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে তাকে নিয়ে। সমালোচনা এবং বিতর্ক প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন এ অভিনেতা। নিজের ফেসবুকে লম্বা স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জবাব দিয়েছেন বিতর্কের।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে রিয়াজ লেখেন, ‘এয়ারপোর্ট থেকে নেমে মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে আসার সময় মনে হয়, এতো বাংলাদেশের নয়; ইউরোপের কোনো রাস্তা। অত্যন্ত হর্ষ ও গর্ববোধ করি এ নিয়ে। কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে বলা হয়েছে আমি নাকি বলেছি, আমার কাছে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার ‘পুরো রাস্তাটাই’ ইউরোপের রাস্তা বলে মনে হয়েছে। আমার এই বক্তব্যের ভিডিও সবখানে আছে, আমাকে দেখাতে পারবেন সেই ভিডিওতে আমি কোথায় বলেছি যে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে ‘পুরো রাস্তাটাই’ ইউরোপের রাস্তা বলে মনে হয়েছে?’
যারা অশ্লীল আক্রমণ করছেন তাদের সিংহভাগ সেই কুচক্রী মহলের লোক যারা একজন রাজাকারকে চাঁদে দেখতে পায় উল্লেখ করে জনপ্রিয় এ অভিনেতা আরও লেখেন, ‘এরা রাজাকারকে চাঁদে দেখার গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ান। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে আজ অব্দি এরা বাংলার সহজসরল মানুষগুলোকে বিভ্রান্তি এবং গুমরাহির মাঝে ফেলে দিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করে চলেছেন। দেশকে প্রতিনিয়ত পেছনের দিকে ঠেলে দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: ভোটের মাঠে অপু-মাহি-তারিন-সুইটিরা
নেটিজেনদের কাছেও প্রশ্ন রেখে রিয়াজ লেখেন, ‘বাংলাদেশকে কি আপনারা এখনো এতোই ফেলনা মনে করেন? আপনাদের কি মনে হয় বাংলাদেশে আসলেই এমন কোন সড়ক কিংবা স্থাপনা নেই যা উন্নত বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে? নিজ দেশের প্রতি আপনাদের কি এতোটুকুও আস্থা নেই? এই আপনাদের দেশপ্রেম কি এতোই নড়বড়ে যে কিছু কুচক্রী গুজববাজের কথা শুনে আপনারা বিভ্রান্ত হবেন? না ভাই, বাংলাদেশ এখন আর সেই তলাবিহীন ঝুড়ি নেই। সেই দিন অনেক পেছনে ফেলে এসেছি। আমরা এখন উন্নয়নের মহাসড়কে দূর্বার বেগে ধাবমান।’
লম্বা স্ট্যাটাসের শেষে গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন রিয়াজ। তার মতে, এরা দেশের শত্রু, এরা আপনার শত্রু।