চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগরীর পাথরঘাটায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুটি কেন্দ্রের ইভিএম মেশিন ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ওই দুটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ইসমাইল হোসেন বালি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী পুলক খাস্তগীর অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি কাউন্সিলর প্রার্থীরা মিছিল নিয়ে ভোটকেন্দ্রে হামলা চালায়। ইভিএমসহ তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রদ্যুত চৌধুরী জানান, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সে সময় বিএনপির সমর্থকরা বালিকা বিদ্যালয়সহ আরও একটি কেন্দ্রে ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ-র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। দুটি কেন্দ্রের ৪টি ইভিএম মেশিন ভেঙে ফেলায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে নগরীর পাহাড়তলী ও লালখানে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পাহাড়তলীতে একপক্ষের সমর্থক নিহত হন। অন্যদিকে, লালখান এলাকায় অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন।
নগরীর ৭৩৫ কেন্দ্রে একযোগে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির দুই প্রার্থী ছাড়াও এবার চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে আরও পাঁচ প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্যদিকে, ৩৯টি সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৩৭ জন। এবারের ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪১৭টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
২০২০ সালের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ষষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে নির্বাচনের আট দিন আগে তা স্থগিত করা হয়। এরপর পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ভোটের দিন ঠিক করে কমিশন।