গোটা দুনিয়ায় যখন ভ্যাকসিনের জন্য হাহাকার তখন বেশির ভাগ উন্নয়নশীল দেশ তো বটেই অনেক উন্নত দেশের আগেই বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে টিকাদান কর্মসূচি। সরকারের পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটির অবদানও কম নয়। সময় সংবাদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান দ্রুত টিকা প্রাপ্তির আদ্যোপান্ত তুলে ধরেছেন।
এক বছরের বেশি সময় ধরে সারাবিশ্বের চিন্তা ও আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। স্বভাবতই এর টিকা নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সিদ্ধান্তহীনতার দোলাচল কম হয়নি। সেই জায়গায় এ মুহূর্তে দেশে ঢুকেছে ৭০ লাখ করোনার ডোজ। যার মধ্যে ২০ লাখই ভারতের উপহার।
আগামী ছয় মাসে আসবে আরো আড়াই কোটি ডোজ। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, সেরাম ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় যে ডোজগুলো আসছে তা সম্ভব হলো কীভাবে? এমন প্রশ্ন ছিল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে।
তিনি বলেন, টিকা আনা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতার কারণে এবং সাহসের জন্য। তাকে জানানোর পর তিনি সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানায় বুকিং দিতে। এই যে টাকা, অগ্রিম টাকাটা দেওয়া হয়েছে; এটা তো সরকার দিয়েছে।
সেরামের শর্ত অনুযায়ী উৎপাদন খরচ মেটাতে টিকার অর্থ আগেই শোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। আর এই ঝুঁকিটা নেওয়া গেছে সরকারের দূরদর্শিতার কারণে। তখন অনেক সমালোচনা হলেও শেষমেশ যথাসময়ে টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমরা আগে ঘোষণা দিয়েছিলাম ২১ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে টিকা আসবে। আসার পর আমরা কথা বলব। এই যে আজ সময় সংবাদের সঙ্গে কথা বলছি, এ জন্য যে টিকা সময়মতো এসেছে। আসার আগে আপনাদের সঙ্গে কথা বলে কিছু হতো না।
সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সেরামের টিকা ভারতের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হবে বাংলাদেশকে। কিন্তু খবরটি যে ভুল করে প্রকাশিত হয়েছে তা স্বীকার করেছে রয়টার্স।
করোনার মতো মহামারির টিকা নিয়ে রাজনীতি বা বিভ্রান্তি ছড়ানো উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।