শ্রবণ প্রতিবন্ধী শাহিন মিয়ার কথা মানুষজন ঠিকমতো বুঝতে না পারলেও তাতে কী। ঘোড়া ঠিকই বোঝে তার ইশারা ইঙ্গিত। ঘোড়া ঠিকই গাড়ি টেনে নিয়ে চলে দিক দিগন্তে। গাড়ি চালাতে শাহিন মিয়ারও কোনো সমস্যা হয় না।
শাহিন মিয়ার বাড়ি নেত্রকোনার জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের গোগ গ্রামে। তার সংসারের আয়ের উৎস একটি মাত্র ঘোড়ার গাড়ি।
এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন জানান, আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে সব কিছু। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও দ্রুত গতির যানবাহন পাওয়া যায় আজকাল। তাই মানুষ এখন ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে আর মালামাল পরিবহন করে না। যে কারণে এই ব্যবসা এখন চোখেই পড়ে না তেমন।
কিন্তু কিছু সড়ক এখনও গ্রামে রয়েছে যেগুলো দিয়ে বর্তমান যুগের আধুনিক বাহন চলে না। ফলে বাধ্য হয়েই অনেকে পুরনো বাহন ব্যবহার করে।
স্থানীয়রা আরও জানান, যে সব গ্রামের রাস্তায় গাড়ি ঢুকতে পারে না সেই সব গ্রাম থেকে ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে অনেকেই কৃষি পণ্য পরিবহন করে থাকেন।
তার মধ্যে কেন্দুয়া উপজেলার হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার এখনও ঘোড়ার গাড়ির আয় দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। শ্রবণ প্রতিবন্ধী শাহিন মিয়াও তাদের একজন।
এ বিষয়ে ঘোড়ার গাড়ি চালক শ্রবণ প্রতিবন্ধী শাহিন মিয়া তার ভাষায় বুঝিয়েছেন অনেক কিছু। তিনি কিভাবে তার ঘোড়ার গাড়িতে মালামাল পরিবহন করে এবং তার কথা মানুষ বুঝতে না পারলেও ঘোড়া ঠিকই বুঝে এসব।