রাশিয়ায় চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশে আইন লঙ্ঘন দেশের জন্য বিপজ্জনক। দেশকে অস্থিতিশীল করতে যুক্তরাষ্ট্র কলকাঠি নাড়ছে বলেও অভিযোগ মস্কোর।
রাশিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা আলেক্সেই নাভালনির মুক্তির দাবিতে গত শনিবার দেশজুড়ে বিক্ষোভ থেকে সাড়ে তিন হাজারের বেশি আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশ। সোমবার ব্রাসেলসে ইইউ'র পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে, নাভালনি ও তার সমর্থকদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
একজন বলেন, ‘নাভালনি ও তার মুক্তির দাবি তোলা আন্দোলনকারীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এ বিষয়ে আমরা সবাই এখানে একমত হয়েছি। জোসেপ বোরেল মস্কো সফরে যাচ্ছেন। সেখানে এ বিষয়টি তুলে ধরবেন তিনি। অবশ্যই রাশিয়া বিষয়টিতে কিভাবে সারা দিচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দেশটির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এর প্রভাব পড়বে।’
আরো পড়ুন: নব্য-নাৎসিবাদের পদধ্বনি, প্রতিরোধে ঐক্যের ডাক জাতিসংঘের
বিক্ষোভকারীদের প্রতি এ সমর্থন জানিয়ে তাদের আটকের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন নবনির্বার্চিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও।
বাইডেনের এমন বক্তব্যের পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি পেসকভ বলেন, চলমান আন্দোলনে আইন ভঙ্গকারীদের সমর্থন করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রশাসনই পরোক্ষভাবে আন্দোলনকারীদের উস্কে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
এদিকে, কারাবন্দী নাভালনি ও তার সমর্থকদের মুক্তি দেওয়া বেআইনি এবং বিপজ্জনক উল্লেখ করে আন্দোলনকারীদের সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
পুতিন বলেন, ‘আইন মেনে প্রতিটি মানুষই নিজেদের মতামত প্রকাশের অধিকার রাখেন। কিন্তু কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, দেশের নিরাপত্তাকে হুমকির মধ্যে ফেলে, তবে তা অবশ্যই বিপজ্জনক। এ ধরণের অপচেষ্টা অবশ্যই দমন করা হবে।’
গত সপ্তাহে চিকিৎসা শেষে জার্মানি থেকে মস্কো ফেরার পর বিমানবন্দরেই আটক হন রুশ বিরোধী দলীয় নেতা আলেক্সেই নাভালনি। এর পর থেকে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাশিয়া।