ওয়ানডে ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দলগুলোতে একটি বাংলাদেশ। বিখ্যাত পঞ্চ পাণ্ডবের মাশরাফী নেই। এরপরও অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ বাংলাদেশ দল। অভিজ্ঞতার মূল্য কত তা আরও একবার প্রমাণ হলো চট্টগ্রামে।
ঢাকায় সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বোলারদের নৈপুণ্যে প্রথম ম্যাচে ১২২ আর পরের ম্যাচে উইন্ডিজকে বাংলাদেশ অলআউট করে ১৪৮ রানে। তাই ব্যাটিংয়ের পর্যাপ্ত সুযোগ পাননি স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা।
চট্টগ্রামে টস জিতে এবার আর ভুল করেননি উইন্ডিজ অধিনায়ক। নিজেরা আগে ব্যাট করা ঝুঁকি নেননি। ব্যাট করতে পাঠিয়েছেন বাংলাদেশকে।
আর এতেই হাত খুলে খেলার সুযোগ পান বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ফিফটি তুলে নেন তামিম ইকবাল। এরপর একে একে ফিফটি তুলে নেন সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা।
এক ইনিংসে চার ব্যাটসম্যানের ফিফটি পাওয়ার অনেক নজির আছে। বাংলাদেশে ক্ষেত্রে অবশ্য এমন কীর্তি এই প্রথম না।
২০১৫ বিশ্বকাপে এই চার ব্যাটসম্যানই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তুলে নিয়েছিলেন ফিফটি। নেলসনের সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে স্কটল্যান্ড করে ৩১৮ রান।
বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে চট্টগ্রামের মতো ওপেনিংয়ের সঙ্গীকে হারান তামিম ইকবাল। তবে নিজ হাতে খেলেন ৯৫ রানের দারুণ এক ইনিংস। এরপর একে একে ফিফটি হাঁকান মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক আর সাকিব আল হাসান। তাদের স্কোর ছিলো যথাক্রমে ৬২, ৬০ ও ৫২।
অবশ্য এক ম্যাচে বাংলাদেশের চার ব্যাটসম্যানের ৫০ বা তার বেশি রানের এটাই প্রথম কীর্তি ছিল না। ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো এক ইনিংসে চার ব্যাটসম্যান করেন ৫০ বা তার বেশি রান। সেখানে অবশ্য ছিল এক সেঞ্চুরিও।
মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেদিন নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোর করেও হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। এনামুল হক বিজয় ওপেনিংয়ে নেমে তুলে নেন সেঞ্চুরি। ওপেনিংয়ে নামা ইমরুল কায়েসের পর ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমও। দু'জনই করেন ৫১ রান।