রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নে মধ্যযুগীয় কায়দায় গ্রাম্য সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক যুবকের ‘বিশেষ অঙ্গে’ ইট বেঁধে মাঠের চারপাশে ঘোরানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই যুবক গুরুতর অসুস্থ ও রক্তক্ষরণ হলে তাকে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর সালিশের মাতুবর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের ওই যুবক ব্যক্তিগত জীবনে তিন সন্তানের জনক। স্ত্রী তার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ এনে সাওরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আলীর কাছে বিচার চাইলে রোববার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে পাতুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিনি ওই যুবকর ‘বিশেষ অঙ্গে’ ইট বেঁধে মাঠ প্রদক্ষিণের নির্দেশ দেন।
নির্দেশ প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে তার ‘বিশেষ অঙ্গে’ ইট বেঁধে মাঠের চারপাশ ঘোরানো হলে রক্তক্ষণ হতে থাকে ও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে মামলা মোকাদ্দমা না করার হুমকি দেন সালিশকারীরা। বাড়ি ফেরার পর তিনি আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান জানান, ওই ঘটনায় ওই যুবকর বাবা বাদী হয়ে কালুখালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আলী, ইউসুফ হোসেন, নাজিরুল শেখ, জিরু মৃধা, রায়হান মন্ডল, চিকু ও জাকির হোসেনসহ আরও অজ্ঞাত ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে সাওরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আলীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান মাসুদুর রহমান।