একদিকে সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে সিটি করপোরেশনের সমন্বয়হীনতা। অন্যদিকে সিডিএর অতিরিক্ত ক্ষমতায়ন। এ কারণে মেয়র পদে যেই আসুক, চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে কোনো ভূমিকা রাখা কঠিন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অথচ প্রধান দুই প্রার্থীই তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রথম স্থান দিয়েছে জলাবদ্ধতা নিরসনকে। এ অবস্থায় সিটি মেয়রের নেতৃত্বেই সমন্বয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব বিশেষজ্ঞদের।
গত ২৬ বছরের নগর ইতিহাসে ষষ্ঠবারের মতো জলবদ্ধতাকে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মেয়রপ্রার্থী। অথচ নীতিগতভাবে তাদের জলবদ্ধতা নিয়ে কাজ করার কোনো এখতিয়ারই নেই। আগের তিন মেয়রকেই জলবদ্ধতার অপবাদ নিয়েই দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছিল।
চট্টগ্রাম ফোরাম ফর প্ল্যানের সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, জলাবন্ধতার বিষয়টি এখন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের হাতে নেই। এটি এখন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করছে।
জলবদ্ধতা নগরীর দীর্ঘদিনের সমস্যা হলেও গত এক দশক ধরে তা মারাত্মক আকার ধারণ করছে। অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে সামান্য বৃষ্টিতে হাঁটুসমান পানিতে তলিয়ে যায় পুরো নগরী। এর মধ্যে গত দুই বছর আগে শুধু নগরীর জলবদ্ধতা নিরসনে ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
এদিকে চট্টগ্রাম মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন কমিটির সদস্য প্রকৌশলী আলী আশরাফ বলেন, তবে জলবদ্ধতা নিরসনের সরকারি সব সংস্থা কাজ করলেও মেয়রের নেতৃত্বে সমন্বয় করা না গেলে সুফল মিলবে না।
জলবদ্ধতার জন্য সমন্বয়হীনতা ছাড়াও আরো বেশকিছু কারণ চিহ্নিত করেছেন চট্টগ্রাম সাবেক সিটি মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, পানিপ্রবাহের পথ যত দিন ঠিক হবে না। তত দিন জলাবন্ধতা নিরসন হবে না। খাল রক্ষা করতে হলে পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে।
একসময় শুধু বর্ষা মৌসুমে প্রবল বর্ষণে নগরীর নিচু এলাকাগুলোতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হতো। কিন্তু জটিলতা বাড়ায় বর্তমানে উঁচুনিচু সব এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়।