জাল যার জলা তার নীতিমালা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ক্ষত্রিয় বর্মণ সম্প্রদায়ের ইতিহাস ও অনুশীলন ও কল্যাণ পরিষদ।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। সে সময় অংশ নেন সুনামগঞ্জ সদর, ধর্মপাশা, দিরাই, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যরা।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, কাগজপত্রে জলমহালের মালিক মৎস্যজীবীরা হলেও নেপথ্যে জলমহাল ভোগ করেন প্রভাবশালীরা। গেল কয়েক মাসে জলমহালের বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় একজন ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জের শিমুলবাকে ১ জন খুন হয়েছেন। এসব ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলেও এখনও অনেক অভিযুক্ত গ্রেফতার হননি। ধর্মপাশার সুনই নদী জলমহালে খুন হওয়া শ্যামাচরণ বর্মণ হত্যা মামলার অনেক আসামি গ্রেফতার হননি।
জলমহালে জাল যার জলা তার নীতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় হাওর এলাকার মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছে বলেও জানান তারা।
এছাড়া জলমহালের দখল পাল্টা দখল, মাছ ধরা নিয়ে প্রতিবছর বিবাদমান গ্রুপগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে নিরীহ জেলেরা প্রাণ হারান। সরকার মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে জলমহাল লিজ দিলেও পুঁজির অভাবে জলমহালে তাদের কোন অধিকার থাকে না। তারা অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটান বলেও জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
এসময় বক্তব্য দেন সংগঠনের আহ্বায়ক সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বমর্ণ, সদস্য সচিব বীর লাল বর্মণ, নিহত শ্যামচরণ বর্মণের ছেলে চন্দন বর্মণ প্রমূখ।