বেদে থেকে জেলে, ভূমিহীন থেকে তৃতীয় লিঙ্গ কেউই বাদ যায়নি একটি বাড়ি থেকে। যারা কোনোদিন ভাবেননি হবে মাথা গোঁজার ঠাঁই, এক টুকরো জমি। তারা আজ ঘরের চাবি আর জমির দলিল পেয়ে হয়ে পড়েন আবেগাপ্লুত।
একেকটি ঘর যেন একেকটি স্বপ্ন। নতুন রং আর ঝলমলে আলোয় সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা বাড়িগুলো যেন জানান দিচ্ছে নিশ্চিত ভবিষ্যতের। ৭০ হাজার পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই হচ্ছে এমন আধাপাকা ঘরগুলোতে। মানবেতর জীবন কাটানো ভাসমান এই মানুষের জন্য এই ঘরগুলো উপহার।
এক নারী বলেন, আগে রাস্তার পাশে থেকেছি, এখন ঘর পেয়েছি।
দুই শতাংশ জমিসহ দুই রুম, রান্নাঘর ও বাথরুমসহ প্রত্যেককে পাচ্ছেন একটি করে আধাপাকা ঘর। সন্তানদের নিয়ে একটু ভালোভাবে বাঁচার স্বপ্ন হতদরিদ্র এই পরিবারগুলো এখন দেখতেই পারেন।
ঘর পাওয়া এক নারী বলেন, ঘর পেয়েছি, এখন দুইটা মেয়েকে বিয়ে দিতে পারব।
দারিদ্রের কশাঘাতে অনেকেরই পার হয়ে গেছে যৌবন। জীবন সায়াহ্নে তাদের ঘুচতে যাচ্ছে নিজের ঘর না থাকার দুঃখ। চোখে মুখে ছিল তাই কৃতজ্ঞতা আর খুশির চমক।
একজন বলেন, আমার বাবাও ঘর করে দিতে পারেননি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।
দলিত, বেদে, হরিজন, তৃতীয় লিঙ্গ কেউই বাদ যাচ্ছে না সরকারের এই আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে।