হবিগঞ্জের মাধবপুরে পুলিশি হয়রানি ও প্রভাবশালী ভাইদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এক কৃষক পরিবার। পুলিশি হয়রানি থেকে মুক্তি ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হয়রানির শিকার কৃষক মোহাম্মদ আক্তার সোলাইমানের পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে বাবার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মেয়ে তানজিনা আক্তার।
অভিযোগে বলা হয়, সোলাইমানের পিতা তিনিসহ পাঁচজন ওয়ারিশান রেখে ২০০৮ সালে মারা যান। নিজামুল ইসলাম, মঞ্জুরুল ইসলাম ও তোফাজ্জুল ইসলাম নামে তার তিন ভাই রয়েছেন। তারা সবাই সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে ভাল অবস্থানে রয়েছেন। পরিবারের মধ্যে শুধু তিনি লেখাপড়া না করে বাবার সাথে কৃষিকাজ দেখাশোনা করতেন। পিতা মারা যাওয়ার পূর্বে বাড়ির সম্পদ ও গাছপালা এবং দুই বিঘা জমি তার নামে অছিয়ত করে দিয়ে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন অন্য ভাইয়েরা।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে দু’জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে বাঘ, আরেকজন নিখোঁজ
প্রথমে তারা সোলাইমানের সকল কাগজপত্র হাতিয়ে নিয়ে কিছু জায়গা বিক্রি করে দেন। এরপর বাড়ির চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেন। বাধ্য হয়ে সোলেমান অন্য আত্মীয়দের সহযোগিতায় আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে তারা আরো আক্রোশ প্রবণ হয়ে উঠেন। মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেন স্থানীয় কাশিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আতিককে। গত ১৩ জানুয়ারি এএসআই আতিককে বাড়িতে নিয়ে এসে তাকে হয়রানির চেষ্টা করা হয়।
১৬ জানুয়ারিও ওই পুলিশ কর্মকর্তা তার ভাইদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আক্তার সোলাইমানের স্ত্রী হেলেনা আক্তারকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরে, তার মেয়ে তানজিনা আক্তার ৯৯৯ এ ফোন করেন এবং স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করেন।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, প্রভাবশালী ভাইয়েরা তাদেরকে প্রাণে হত্যার হুমকিও প্রদান করেন। পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে চলেছেন। ফলে একদিকে পুলিশ হয়রানি, অন্যদিকে প্রভাবশালী তিন ভাই ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে গত ১০ দিন ধরে বাড়ি ছাড়া ওই অসহায় কৃষক পরিবার। পুলিশি হয়রানি থেকে মুক্তি ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন মহলের কাছে দাবি জানান কৃষক সোলেমান।