দ্বিতীয় ম্যাচে উইন্ডিজ দল খেলতে পেরেছে ২৬২ বল। এর মধ্যে ১৭৪টাই ছিল ডট। যে কারণে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা পড়েছে বেশ চাপ। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে গিয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইন্ডিজ দল হারিয়েছে উইকেট। মুস্তাফিজ পেস, আর সাকিব মিরাজের স্পিন দিশেহারা হয়ে পড়ে ক্যারিবিয়রা।
মিরপুরের রহস্যময় ওই উইকেট যে এক দুর্বোধ্য বধ্যভূমি অতিথি ক্যারিবিয়ানদের কাছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ম্যাচের বয়স কিন্তু খোলেনি সেই জট। তাইতো টানা দ্বিতীয়বারের মতো দেড়-শতকের নিচেই গুটিয়ে গেল উইন্ডিজ শিবির। যার মূল কৃতিত্ব বাংলাদেশের বোলারদের দিতেই হবে।
ম্যাচের বোলিং স্কোরকার্ডের দিকেই চোখ বুলালে স্পষ্ট হয় ঠিক কতটা দাপুটে ছিলেন মিরাজ-মোস্তাফিরা। শুধু উইকেট তোলাই নয়, একের পর এক ডট বল খেলিয়ে ব্যাটারদের রেখেছেন চাপে। সঙ্গে টার্ন আর বাউন্স নজর কেড়েছে।
শুরুটা করা যাক নতুন রূপে ফেরা মোস্তাফিজকে দিয়ে। ৪৭টি ডেলিভারির মধ্যে ডটই দিয়েছেন ৩৮টা। ইকোনমি ১.৯১। বাউন্ডার খেয়েছেন মোটে একখানা।
কিছুটা খরচে হলেও তরুণ হাসান মাহমুদ ১ উইকেট আর দারুণ কিছু ডেলিভারিতে আস্থা কুড়িয়েছেন সমর্থকদের। ডট বল তুলে নেয়ায় দেখিয়েছেন মুন্সিয়ানা।
এসবের ভিড়ে রুবেলের অবশ্য নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন। টানা দুই ম্যাচেই যে উইকেট শূন্য এই সিমার। তাইতো দারুণ প্রতিযোগিতার এই বাজারে, নিজের জাগা পোক্ত করতে হতে হবে আরো ধারাবাহিক।
এবার চোখ দেয়া যাক টাইগারদের স্পিন অ্যাটাকে। যার নেতৃত্বে এদিনও সাকিব। ম্যাচের একমাত্র বোলার হিসেবে সম্পূর্ণ করেছেন কোটার ১০ ওভার। দুই উইকেট তুলে নিয়ে ভেঙে দিয়েছেন উইন্ডিজের মির্ডল অর্ডারের মেরুদণ্ড।
নিজের রংহীন ফর্ম আর নানা কারণে আলোচনার কেন্দ্রে থাকা মেহেদী মিরাজ ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে প্রমাণ দিয়েছেন নির্বাচকদের আস্থার। প্রথম ম্যাচে ২৬টার পর এ ম্যাচে ডট বল করেছেন ৪১ খানা। বলাই বাহুল্য প্রত্যাবর্তনের ক্রিকেটে সব ছাঁপিয়ে এখন বড় প্রাপ্তি টাইগার বোলাদের নবরূপে ফেরা।