পূর্ব বিরোধের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নাটঘর গ্রামের রসুলপুরে বর্তমান ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় ঘটেছে।
হামলার ঘটনায় আহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আব্দুল বাছির মিয়া ও ফারুক মিয়া নামে দুই সমর্থকের।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) একজন বিকেলে ও অপরজন রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে দাবি দুপক্ষের। তবে প্রকৃত ঘটনা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে, বলছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রসুলপুর গ্রামের বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার শহিদ মিয়ার সাথে একই ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুল সোবাহানের গত উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
এই বিরোধের জের ধরে গত বছরের ১৩ নভেম্বর সকালে শহিদ মিয়ার লোকজন আব্দুল সোবহানের সমর্থক বাছির মিয়ার উপর দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় বাছির মিয়াকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। পরবর্তীতে সেখানে চিকিৎসা শেষে তাকে আবারও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। বাছির মিয়া দীর্ঘ ২ মাস ৮ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বুধবার বিকেলে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এদিকে, বাছির মিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সাবেক ইউপি সদস্য সোবহান মেম্বারের সমর্থকরা শহিদ মিয়া মেম্বারের সমর্থকদের বাড়িতে অর্তকিত হামলা করে। এসময় ফারুক মিয়াকে একা পেয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নাটঘর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আব্দুস সোবহান জানান, ঘটনার দিন সকালে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার শহিদ মিয়ার লোকজন আমার সমর্থক বাছির মিয়ার উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। গতকাল বুধবার বিকেলে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাছির মিয়া। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এদিকে, ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার শহিদ মিয়া এ ঘটনায় সাবেক মেম্বার আব্দুস সোবহানকে দায়ী করেন। এ ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন বর্তমান এই মেম্বার।
নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মকবুল হোসেন জানান, গতকাল নিহত ফারুক মিয়ার শরীরের কোথাও কোন জখমের চিহ্ন নেই। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই দুটি মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।