চট্টগ্রামে বিএনপি’র শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের ভোটের মাঠ। একদিনে দুই জায়গায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ এবং একটি কলেজের প্রশিক্ষণস্থানে বিএনপি কর্মীদের জোর করে প্রবেশের ঘটনায় তিন থানায় তিনটি মামলা হয়েছে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।
নগরীর কোতোয়ালী থানায় করা মামলায় ৩৫ জন, বাকলিয়ায় ২৪ জন এবং আকবর শাহ থানায় ৮১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
নগরীর নূর আহম্মদ সড়কে বুধবার (২০ জানুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের পর বিক্ষোভ মিছিল করে তাদের সমর্থকরা। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণেরও ঘটনা ঘটে।
কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় নগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোশারুফুল হক চৌধুরী পাভেল বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এজাহারনামীয় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
এদিকে বিকেলে বাকলিয়া থানার বলিরহাটেও মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় যুবদলের কর্মীদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় বাকলিয়া থানায় স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানান বাকলিয়া থানার ওসি রুহুল আমিন।
এ সময় তিনি আরও জানান, ইমাম হোসেন সাগর নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে এক জনসহ মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দুইজন এজাহারনামীয় আর দুইজন পুলিশের তদন্তের পাওয়া আসামি বলে জানান ওসি রুহুল আমিন।
আকবর শাহ থানার ওসি জহির হোসেন জানান, পাহাড়তলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ চলাকালে জোর করে ঢুকে হামলার ঘটনায় ৮১ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। মামলার পর পুলিশ এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে বলে জানান ওসি।
কলেজের অফিস সহকারী বাপ্পু কুমার দাশ বাদী হয়ে করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, তাদের কলেজে গত ১৮ জানুয়ারি থেকে নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ চলছিল। বুধবার দুপুরের বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন কলেজের সামনে দিয়ে গণসংযোগ করে যাওয়ার সময় কলেজে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় কলেজ অধ্যক্ষ তাকে প্রশিক্ষণ ক্লাসের কথা জানালে তিনি প্রবেশ না করে চলে যান। তবে ওই প্রচারণা মিছিলের পেছনে থাকা তার সমর্থকরা জোর করে কলেজে প্রবেশ করে দরজা জানালা ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়।