উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য শ্রম আইন ও অধিকার সংস্কার অব্যাহত রাখা জরুরি বলে মনে করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ সিপিডি।
বুধবার (২১ জানুয়ারি) সিপিডি আয়োজিত 'বাংলাদেশের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইবিএ এবং জিএসপি প্লাসের সম্ভাবনা: শ্রম আইন ও অধিকার সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা' শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে উঠে আসে এসব বিষয়।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে বাংলাদেশ। এ উত্তরণ ধারাবাহিক রাখতে শ্রম আইন ও অধিকারের বিষয়ে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে বলে মনে করে গবেষণা সংস্থাটি। এলডিসি থেকে উত্তরণের কারণে বাংলাদেশের রফতানির ক্ষেত্রে যে অগ্রাধিকার বাজার সুবিধা (জিএসপি) পায়, তা সংকুচিত হবে। সেক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি প্লাস সুবিধার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত হলে রফতানির ক্ষেত্রে বাড়তি শুল্ক পরিশোধ করার প্রয়োজন পড়বে না বলে মনে করে সিপিডি।
তবে এই সুবিধা পেতে বাংলাদেশকে ২৭টি মানবাধিকার ও শ্রমমান সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক নীতি মেনে চলতে হবে। যার মধ্যে ১৫টি ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন- আইএলও’র সাথে সম্পর্কিত। এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টির বিষয়টি উঠে আসে সংলাপে।
সংলাপে সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাংলাদেশ জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে প্রয়োজনীয় মানদণ্ড পর্যবেক্ষণ, প্রয়োগ আর ত্রুটি পর্যালোচনা করে এই গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
মূল প্রতিবেদন উপস্থাপনের বিষয়ে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি সুবিধা বাণিজ্য কাঠামো দেয়, যা পেতে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও সরকারকে মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারের সুরক্ষার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হয়। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে শিশু শ্রম, ট্রেড ইউনিয়ন আইন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিসহ আইন সংস্কারের অনেক সুযোগ আছে।
সংলাপে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেজন্সে তেরিঙ্ক ও আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পটিয়াইনন উপস্থিত ছিলেন। রেজন্সে তেরিঙ্ক বলেন, বাংলাদেশকে একটি শ্রমবান্ধব দেশ হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার প্রয়োজন আছে। যা শুধু জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে নয়, শ্রমিকদের উন্নয়নের স্বার্থে প্রয়োজন।
সংলাপের সঞ্চালনা করেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।