মৌলভীবাজার বারই গ্রাম দারুল কোরয়ান মাদ্রাসা ও এতিমখানার এক শিক্ষার্থী দেরিতে ক্লাসে আসায় মাদ্রাসার শিক্ষক তাকে বেধড়ক মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে আহত শিক্ষার্থী শাকিল আহমদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হলে সবার নজরে আসে।
তবে বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছেন, মাদ্রাসায় দুজন শিক্ষার্থীর মধ্যে মারামারি হলে মাদ্রাসা শিক্ষক এ দুজনকে আঘাত করেন। এর চেয়ে আর বড় কিছু নয়। বিষয়টি বুধবার দুপুরেই মিটমাট হয়েছে।
মাাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী শাকিল আহমদের বাবা আব্দুল মালিকের অভিযোগে জানা যায়, তার ছেলে বুধবার দেরিতে মাদ্রাসায় যায়। এতে মাদ্রাসার শিক্ষক কাওসার আহমদ তার ছেলেকে বেধড়ক পেটান। এতে তার শরীরের পিঠ হাত ও উরুসহ বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এ খবর পেয়ে শাকিলের বড় ভাই শাহিন আহমদ মাদ্রাসায় গেলে তাকেও পেটানো হয়। শাকিলকে এলাকার লোকজনের উপস্থিতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় এবং মাদ্রাসায় বৈঠক বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। পরবর্তীতে শাকিলের বাবা আব্দুল মালিক বড়লেখা থানায় তার ছেলেকে পেটানোর বিষয়টি থানায় অভিযোগ করেন।
তবে বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, দুপুরেই বিষয়টির মীমাংসা হয়েছে।