অবশেষে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার ১৯ দিন পর সরকারি সহায়তার বিনামূল্যের নতুন পাঠ্যবই পেল কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় অন্তর্ভূক্ত বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
মাদ্রাসার সুপার পদে দুজন দাবিদার পৃথকভাবে শিক্ষার্থীদের তালিকা দিয়ে বইয়ের চাহিদা দেওয়ায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর থেকে নতুন পাঠ্যবই সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। ফলে নির্ধারিত সময়ে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নতুন বই পায়নি। এদিকে এখন পর্যন্ত সুপার পদ নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের অবসান হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নেতৃত্বে অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মাদ্রাসায় গিয়ে সরাসরি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যবই তুলে দিয়েছেন।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে প্রথম শ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ৭১ জন শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই, ফুলাবাড়ী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ, সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরে একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম এবং ফুলবাড়ী থানার এসআই এনামুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান, সুপার পদ নিয়ে দ্বন্দ্বের অবসানের জন্য সংশ্লিষ্টদের সময় দেওয়া হলেও তারা ব্যর্থ হন। এজন্য শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার কথা বিবেচনা করে নিজেরা মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করে বই বিতরণ করা হয়েছে। এভাবে অবশিষ্ট শিক্ষার্থীদের হাতে সরাসরি বই তুলে দেওয়া হবে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ছিটমহল বিনিময় সম্পন্ন হওয়ার পর স্থানীয় বিদ্যানুরাগী ব্যক্তিদের দানকৃত এক একর জমিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার নামে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ অবস্থায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট বিগত ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল মাদ্রাসাটির নামকরণ শেখ ফজিলাতুন্নেছার নামে করার অনুমোদন দেয়।
এরপর বিগত ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি মাদ্রাসায় পাঠদানের জন্য ৩ বছরের জন্য সাময়িক অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি ২টি মাদ্রাসাসহ ২৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হয়। তার মধ্যে এই মাদ্রাসাটি রয়েছে।
মূলত জাতীয়করণের পর থেকে মাদ্রাসাটির সুপার পদ নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। মাদ্রাসাটিতে প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত রয়েছে।