ভূমিহীনদের উচ্ছেদ করে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নাটোরে গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের ঘর তৈরীর অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেছে এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ভূমিহীনসহ এলাকার কয়েকশ নারী পুরুষ।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের বাকশোর দোবিলা এলাকার কয়েকশ' নারী পুরুষ প্রধান সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করে।
এসময় দরিদ্র এসব নারী পুরুষ অভিযোগ করেন, পর্যাপ্ত সরকারি পরিত্যক্ত খাস জমি থাকা সত্ত্বেও এলাকার মানুষের আপত্তি উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ভূমিহীনদের বাড়ি-ঘর ভেঙে, গাছপালা কেটে ঘর নির্মাণ করছেন। এর ফলে সেখানকার ভূমিহীনরা আশ্রয়হারা হওয়ার শঙ্কায় ভুগছেন।
তারা বলেন, যাদের বাড়ি-ঘর উচ্ছেদ করা হচ্ছে তারা নিজেরাই ভূমিহীন। অথচ তাদের বরাদ্দ না দিয়ে কাদের জন্য ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে সে ব্যাপারে জানে না।
এদিকে ওই জায়গার পেছনে ব্যক্তি মালিকানা জায়গায় বসবাসরত ব্যক্তিরা জানান, সামনে ঘর নির্মাণ করা হলে তাদের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে।
এদিকে, সরকারী এই জায়গা থেকে উচ্ছেদকারীদের ব্যক্তি মালিকানার জায়গা দিয়ে তৈরি হওয়া গ্রামীণ সড়ক দিয়ে আশেপাশের এলাকায় অন্তত ৩টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এছাড়া বিলের কয়েকশ বিঘা জমির ফসল মহিষের গাড়িতে করে ও অন্যান্য মাধ্যমে ঘরে তোলেন কৃষকরা। ইতিমধ্যেই ওই জায়গার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে কয়েক গ্রামের মানুষের চলাচল ও জমি থেকে ফসল আনা নেয়া বন্ধ আছে।
জামতৈল গ্রামের স্থানীয় লোকজন জানান, হাট বাজারসহ শহরের সাথে যোগাযোগ ও যাতায়াতের এটিই একমাত্র রাস্তা। এটি বন্ধ হয়ে গেলে তাদের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাবে। অন্তত ৩ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে তাদের শহরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। ফসল তোলা ও হাটে বাজারে যেতে সমস্যা হবে।
এলাকাবাসী আরও জানান, বাকশোর থেকে কালিগঞ্জ পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তার পাশে ফাঁকা খাস জমি ও জায়গা থাকলেও সেসব স্থানে ঘর নির্মাণ না করে ভূমিহীনদের উচ্ছেদ করে কেনই বা এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, সেখানকার লোকজন বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝার কারণে এ অবস্থা হয়েছে। জায়গা পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। জনদুভোর্গ সৃষ্টি করে কোনও ঘর নির্মাণ করা হবে না।