চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদে যুবলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ মিন্টু হত্যা মামলায় স্থানীয় কিশোর গ্যাং লিডার মোস্তফা কামাল টিপুসহ চার এজাহারভুক্ত আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আদালত শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আশফাকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
অন্য আসামিরা হলেন- মাহবুব প্রকাশ বাবা মাহবুব, মোহাম্মদ রাব্বি ও ফয়সাল খান।
মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, মিন্টু হত্যা মামলার চার আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে তারা তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করলে তা না মঞ্জুর হয়।
তিনি বলেন, ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। মূলত জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা আত্মসমর্পণ করেন।
জানা গেছে, কিশোর গ্যাং লিডার মোস্তফা কামাল টিপু মূলত স্থানীয় নজরুল ইসলাম বাহাদুরের হয়ে কাজ করেন। বাহাদুর আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেন টিপু। মতের অমিল দেখা দিলেই টিপু যে কারো উপর হামলা করতেন। তার বিরুদ্ধে ডবলমুরিংসহ বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি, মারামারি ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। সর্বশেষ জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রকাশ মারুফ চৌধুরী হত্যা মামলায় আসামি করা হয় তাকে।
আরও জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ কারাগারে থেকে বের হওয়া টিপু ২৮ নম্বর পাঠানটুলি ও আগ্রাবাদ এলাকায় অস্ত্রের মুখে মানুষকে জিম্মি করে নিজস্ব আস্তানা বানিয়েছেন। তার ভয়ে সাধারণ মানুষ এলাকায় কুঁকড়ে থাকেন। গত বছরের ১২ নভেম্বর রাতে নগরের আগ্রাবাদ হোটেল এলাকায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান আয়োজনকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রকাশ মারুফ চৌধুরী নামে ওই যুবলীগ কর্মীকে উপর্যুপরি বাটামের আঘাতে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষরা।
পরদিন নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার বোন রোজি চৌধুরী বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।